অসংখ্য সৃষ্টি আর বাঙালির চেতনা বিনির্মাণে অনামান্য অবদান রাখার জন্য চিরকাল বাংলার মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণে রাখবে কিংবদন্তি সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীকে। আর তাঁর কালজয়ী রচনা একুশের গানের মাঝেই তিনি চির অমর হয়ে থাকবেন।
শনিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে আয়োজিত এক নাগরিক শোকসভায় এভাবেই প্রয়াত সাংবাদিক, ভাষা সৈনিক ও একুশের গানের রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন বিশিষ্টজনেরা।
জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ছিলেন জাতির বিবেক ও বাতিঘর।
তার প্রয়াণের মধ্য দিয়ে একটি অসীম শুণ্যতা তৈরি হয়েছে, যা কখনই পূর্ণ হওয়ার নয়। ’ তারা বলেন, ‘বাংলার মানুষের অনন্য এক সাহস হয়ে ছিলেন তিনি। ’
স্কলার্স বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই নাগরিক শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। স্কলার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শামীম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
শোক জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব বেলাল বেগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, কমিউনিটি নেতা ও মূলধারার রাজনীতিবিদ মোরশেদ আলম, লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, সাংবাদিক মনজুর আহমদ, ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির যুক্তরাষ্ট্র চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর, কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, কবি হাসান আল আব্দুল্লাহসহ অনেকে।
এ সময় দিলারা খান রুপার নেতৃত্বে অমর একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’ গেয়ে শোনান শিল্পীরা। আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা গানটি গেয়ে ও তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে খ্যাতিমান এই সাংবাদিককে স্মরণ করেন উপস্থিত সবাই। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী তাজুল ইমাম।
অনুষ্ঠানে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা কবিতা নিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সময়ের ঘড়ি’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় বইটি থেকে কয়েকটি কবিতা পাঠ করে শোনানো হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..