করোনা পরিস্থিতি শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কয়েকটি তেল রপ্তানিকারক দেশ ছাড়া পৃথিবীর সব দেশেই ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মূল্যমান ব্যাপকভাবে কমেছে। সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মূল্যমান কমায় কম ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে।
একই সময়ে কয়েকটি তেল রপ্তানিকারক দেশ ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশের মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত শনিবার দলের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সভায় এ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান কমেছে ৩.৪১ শতাংশ, ভারতীয় রুপির কমেছে ৬.৮৩ শতাংশ, পাকিস্তানি রুপির ৩০.৬৩ শতাংশ, নেপালি রুপির ৬.৪৮ শতাংশ, মিয়ানমার কিয়াটের ১২.৬৭ শতাংশ, চীনা ইউয়ানের ৫.৪ শতাংশ, থাই বাথের ৯.৬৬ শতাংশ, জাপানি ইয়েনের ১৭.৩২ শতাংশ, দক্ষিণ কোরীয় ওয়ানের ১২.০৭ শতাংশ, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের ৩.৯ শতাংশ, ফিলিপিনো পেসোর ৯ শতাংশ, তাইওয়ান ডলারের ৬.৪ শতাংশ, সিঙ্গাপুর ডলারের ৩.৭৫ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ান ডলারের ৯.১৭ শতাংশ, নিউজিল্যান্ড ডলারের ১০.৭৭ শতাংশ এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের ১১.৮৬ শতাংশ।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে জাপানি ইয়েনের বিপরীতে বেড়েছে ১৩.৮৬ শতাংশ, ইউরোর বিপরীতে ১০.৯৪ শতাংশ, ভারতীয় রুপির বিপরীতে ২.৭৩ শতাংশ, ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ৮.০৭ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিপরীতে ৬.৪৫ শতাংশ, চীনা উয়েনের বিপরীতে ১.৩২ শতাংশ, কানাডিয়ান ডলারের বিপরীতে ২.৯৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরীয় ওয়ানের বিপরীতে ৯.৩৮ শতাংশ, ড্যানিশ ক্রোনের বিপরীতে ১১.৯৭ শতাংশ, আর্জেন্টাইন পেসোর বিপরীতে ২১.৬৯ শতাংশ, সুইস ফ্রাংকের বিপরীতে ৪.৯২ শতাংশ এবং নিউজিল্যান্ড ডলারের বিপরীতে ৭.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষণায় দেখানো হয়, ডলারের বিপরীতে মূল্যমান বেড়েছে মাত্র দুটি দেশের মুদ্রার। রাশিয়ার রুবলের মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯.০৫ শতাংশ আর ব্রাজিলিয়ান রিয়েলের বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৯৭ শতাংশ।
সভায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কম্পানির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল এই স্যাটেলাইটের সেবা গ্রহণ করার ফলে রাষ্ট্র বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে। আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবহার না করলে এই অর্থ বিদেশি কোনো কম্পানিকে দিতে হতো। তাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোনো মুনাফা অর্জন করছে না, এটি অপপ্রচার। ’
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য এবং তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ, জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং উপকমিটির সদস্য প্রফেসর মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..