রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই নাড়ির টানে শেষ মুহূর্তেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বাস মালিকরা।
রোববার (১৬ জুন) কেরানীগঞ্জের হিজলতলা ও ইকুরিয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
যাত্রীরা জানান, শেষ সময়েও বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন বাস মালিকরা। টিকিট থাকলেও বলা হচ্ছে নেই।
আশিকুর রহমান জসিম নামে এক যাত্রী বলেন, বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশে হিজলতলা বাস স্ট্যান্ডে এসেছিলাম। যাত্রীর চাপ খুব বেশি না। এরপরও বাড়তি ভাড়া চাচ্ছে।
বাস কাউন্টার দালালে ভর্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমনিতেই ভাড়া বেশি, তারপরও যাত্রীদের টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন হেল্পার ও চালকরা। ভাড়া নিয়ে হচ্ছে বাকবিতণ্ডাও। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন বাস চালক ও যাত্রীরা। ছবি: বিশ্বজিৎ দাস বিজয়
৪০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান আশিক। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া ৪০০ টাকা হলেও এখন ৭০০-৮০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। যা রীতিমতো ডাকাতি।
জান্নাতুল মোহনা নামে আরেক যাত্রী জানান, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাড়ি যাব। তবে দিগুণ ভাড়া দাবি করছেন বাস মালিকরা। ঈদ উপলক্ষে ১০০ টাকা বেশি চাইতে পারে, তাই বলে ডবল ভাড়া চাইবে!
তবে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন বাস চালক ও কাউন্টারম্যানরা।
শরীয়তপুর পদ্মা ট্রাভেলস লিমিটেডের কাউন্টারম্যান মো. আজিজ সময় সংবাদকে বলেন, বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষে ৩০০ টাকার ভাড়া ৪০০ করে নিচ্ছি। কারণ ফেরার সময় খালি গাড়ি নিয়ে ফিরতে হয়।
চন্দ্রা পরিবহণের কাউন্টার ম্যান রিংকু জানান, যাত্রীর চাপ থাকলে সারারাত বাস চলবে। যাত্রীরা ভোগান্তি ও হয়রানি ছাড়াই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন। বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না।
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণের ট্রাফিফ পুলিশের শহর ও যানবাহন বিভাগের সহাকারী উপ-পরিদর্শক মোকছেদুল ইসলাম জানান, বাসগুলোতে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। ৪০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। কয়েকটি বাসকে জরিমানাও করা হয়েছে।
বাড়তি ভাড়া আদায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাস কাউন্টারগুলোকে নিয়মিত সতর্ক করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..