গাজীপুরের জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে। এর মধ্যে রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় ৮ ঘণ্টা বিলম্বে রয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এই ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ প্রতেবদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) ওই ট্রেন এখনো কমলাপুর ছাড়েনি।
কখন ছাড়বে সেই সময়ও এখন পর্যন্ত জানানো হচ্ছে না। উত্তরাঞ্চলের পথের অন্যান্য ট্রেনের যাত্রাও বিলম্ব হচ্ছে।
কমলাপুর স্টেশন সূত্র বলছে, লাইন ক্লিয়ার না হওয়ার কারণে জয়দেবপুর হয়ে যে ট্রেনগুলো যাতায়াত করে সেগুলোর বিলম্ব হচ্ছে। গতকাল থেকেই এসব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে।
এদিকে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলরুটের জয়দেবপুরের আউটার সিগন্যালে কাজীবাড়ি নামক স্থানে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনাকবলিত দুটি ইঞ্জিন এখনো উদ্ধার হয়নি। তেলভর্তি একটি ওয়াগন এখনো লাইনে পড়ে আছে, খালাস হয়নি তেলও। পুরো উদ্ধার অভিযান শেষ হতে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত লাগতে পারে।
দুপুর আড়াইটায় উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, আরো দুই ঘণ্টা লাগবে উদ্ধারকাজ শেষ হতে।
সন্ধ্যার আগে বা পরে উদ্ধারকাজ শেষ হতে পারে। পুরো রুট চালু হতে অনেক রাত হয়ে যেতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এক লাইনে ট্রেন চলার কারণে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করতে পারছে না। একাধিক ট্রেনের সময় হলে এক লাইনের সিগন্যাল পেতে টঙ্গী, ধীরাশ্রম বা ভাওয়াল গাজীপুর বা কালিয়াকৈরের কোনো স্টেশনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিভিন্ন ট্রেনকে। ফলে ট্রেনের শিডিউলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
জয়দেবপুর জংশনে ট্রেন থেকে নেমে বিশ্রামে থাকা ঢাকাগামী যাত্রী আসাদ মিয়া জানান, এক লাইনে ট্রেন চলার কারণে আমাদের বহনকারী ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে।
টঙ্গী জংশনে ট্রেন থেকে নেমে পায়চারী করা উত্তরবঙ্গের যাত্রী তসলিমা বেগম জানান, ট্রেন সিগন্যাল পেলে যাবে। তাই স্টেশনে নেমে হাঁটাহাঁটি করছি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘এখনো কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল হচ্ছে না। যেসব ট্রেন কাল আটকা পড়েছিল এসব ট্রেন চলাচলে দেরি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮টা ট্রেনের দেরি হয়েছে। আশা করি আজকের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।’
এ জাতীয় আরো খবর..