রেমালের দাপটে দিন-রাত রাজধানীজুড়ে বৃষ্টি, সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার দাপট। টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় স্থবির পুরো নগরী। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছ। বিপাকে পড়েন অপেক্ষাকৃত ছোট যানবাহনের চালকরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
রোববার (২৬ মে) রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এরপর সোমবার (২৭ মে) সারা দিনের বৃষ্টির পর আশা ছিল রাতে কমবে তীব্রতা। হয়েছে হিতে বিপরীত। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা বেড়ে হয় দ্বিগুণ। বাড়ে ভোগান্তিও। রাজধানীর মূল সড়ক থেকে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বাসাবড়িতে ঢুকে পড়েছে পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েন হাজারো মানুষ।
নাজমুল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। রাতে ঘুমাতে পারিনি। গ্যাসের চুলার মধ্যেও পানি ডুকেছে। খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ হয়ে আছে।’
সড়কেও ছিল একই চিত্র। বৃষ্টির পানিতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিকল হয়ে যায় অসংখ্য যানবাহন। অপেক্ষাকৃত ছোট যানবাহনের অবস্থা আরও করুণ।
সারা রাত বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের তীব্রতায় রাজধানীজুড়ে ভেঙ্গে পড়েছে অসংখ্য গাছ। কোনো কোনোটি আবার আছড়ে পড়েছে সড়কের চলন্ত যানবাহনের ওপরও।
কবির হোসেন নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বলেন,
ইঞ্জিনে পানি ঢুকে স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে টেনে কোনো রকম পাশে নিয়ে এসেছি। আর চোখের সামনে দেখলাম একটি প্রাইভেটকারের ওপর গাছ পড়ে গাড়িটি চ্যাপ্টা হয়ে গেছে।
এদিকে রাতের অন্ধকারের সঙ্গে ঝড়ো বাতাসের দাপটে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বৈদ্যুতিক সংযোগ হয়ে উঠে মৃত্যুফাঁদ। এক রাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, খিলগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় মারা যান চারজন।
বছরের পর বছর ধরে নগরজুড়ে চলা এত ভোগান্তি থেকে মুক্তি চান সাধারণ মানুষ। দাবি সমন্বিত এবং পরিকল্পিত উদ্যেগের।
এ জাতীয় আরো খবর..