×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-১১
  • ৯৯ বার পঠিত
এসএসসি পাসে ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি, সঙ্গে থাকছে আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা। এমন প্রলোভন দেখিয়ে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এরপর চাকরির ভুয়া কনফারমেশন লেটারও দেওয়া হতো। চাকরিতে ল্যাপটপ ও মোটরসাইকেল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ‘সিকিউরিটি মানি’ হিসেবে নেওয়া হতো টাকা।

এভাবে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে অন্তত দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এই চক্রের হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত মঙ্গলবার রাজধানীর আশকোনা এলাকা থেকে মজিবুর রহমান (৪২) এবং তাঁর দুই নারী সহযোগী লাবনী আক্তার (২৩) ও জান্নাতুল ফেরদৌস ময়নাকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বুধবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১৪টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন কম্পানির ৬০টি সিম কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া ৪০টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৪৮টি বায়োডাটা ও ৩০টির বেশি ভুঁইফোড় কম্পানি এবং এনজিওর নামে করা নিয়োগপত্র ও স্ট্যাম্প সিল জব্দ করা হয়।

রেজাউল মাসুদ জানান, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। তারা উত্তরায় নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নামের একটি অফিস খুলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছে। বিভিন্ন জেলার শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে জামানত বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা রাখে। আবার কখনো প্রশিক্ষণ, কখনো ল্যাপটপ কিংবা মোটরসাইকেল দেওয়ার নাম করে অগ্রিম নিয়েছে। এ বিষয়ে সাইবার পুলিশ সেন্টারে (সিপিসি) একটি অভিযোগ আসে। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযোগকারী ভিকটিম ছাড়াও সারা দেশে অসংখ্য বেকার চাকরিপ্রার্থী এই চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, মজিবুর রহমান তাঁর অন্যান্য সহযোগীর যোগসাজশে গত পাঁচ বছরে প্রায় ২৫ হাজার সিভি বা বায়োডাটা সংগ্রহ করেছেন। এসব বায়োডাটা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে গত তিন বছরে প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat