স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু। এটি দেশের গৌরব, মর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
আজ মঙ্গলবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু’ নিয়ে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ সহজ ছিল না।
অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ও চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তা নির্মিত হয়েছে। এর নির্মাণের একক কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলের পর তারই একক সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে।
‘সততা, নিষ্ঠা ও কাজের প্রতি অবিচল থাকলে যেকোনো অর্জন সম্ভব, বঙ্গবন্ধুকন্যা তা আরেকবার প্রমাণ করলেন’, এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোনো সাহায্য ছাড়া দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। তাই পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসের অন্য নাম। ’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন।
অনুষ্ঠানে মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, 'স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আমাদের জন্য অপরিমেয় আনন্দের উৎস-গাথা। প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতুর নির্মাণ শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার বা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বিষয় নয়; এর সাংস্কৃতিক তাৎপর্যও অপরিসীম। '
এ জাতীয় আরো খবর..