জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে একদল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে 'সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় তারা জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসকরণে তিন দাবি জানায়। তিন দফার মধ্যে রয়েছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃদ্ধিকৃত জ্বালানি তেলের দাম কমানো, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি না করা, গণপরিবহনে ভাড়ার নামে নৈরাজ্য বন্ধ করা ও সকল শিক্ষার্থীর হাফ পাস নিশ্চিত করা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত ৭ আগস্ট রাতে ১২টা থেকে আকস্মিক জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়। যার ফলে গণপরিবহনের ভাড়াও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বহন করা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে এটি আরো বেশি অসম্ভব। এই তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই।
কর্মসূচিতে সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট বলেন, 'হঠাৎ করে তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। ১০টায় ঘোষণা দিয়ে ১২টায় কার্যকর করা জনগণের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না। তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে সব কিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। যেগুলোর সাথে তেলের কোনো সম্পর্ক নেই সেগুলোরও দাম বেড়ে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষের জীবনযাপন স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে দাঁড়িয়েছি। আজকে এই দাম বৃদ্ধি পরিবহন সমিতি ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি করে দিচ্ছে। অবিলম্বে এর সমাধান করা চাই। '
আবুল কাশেম মজুমদার নামের এক অভিভাবক বলেন, 'সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে যদি সমন্বয় না হয় তাহলে পারিবারিক, শিক্ষা সব ক্ষেত্রে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বর্তমানে শাসনের নামে শোষণ করছে সরকার। '
এ জাতীয় আরো খবর..