চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। তিনি বলেছেন, যাদের গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। হতাহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আমরা দায়িত্বে অবহেলা করে কারো ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা না করি। আর এটি নাশকতা কিনা সেটিও তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা হোক।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি দগ্ধ রোগীদের দেখতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।
দগ্ধদের খোঁজ খবর নিয়ে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, রোগীরাও এখানে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন। আহতদের চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি নেই এখানে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার আগে সেফটির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এমন মানবিক বিপর্যয় কাম্য না। ভবিষ্যতে যাতে আর এমনটি না ঘটে সেজন্য এখনই সতর্কতা অবলম্বর করা উচিত। এর আগেই প্রয়োজন ছিল সচেতনতার।
ঘটনার পর ফায়ার ফাইটাররা যে আন্তরিকতার সঙ্গে ফাইট করেছেন তার প্রশংসনীয় জানিয়ে তিনি বলেন, কনটেইনারে যে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রয়েছে তা পানির সংস্পর্শে এলে আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। এটি ফায়ার ফাইটারদের আগেই জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। এতে তারা আরো পটেকশন নিয়ে কাজ করতেন। এখানেও তারা দায়িত্বে গাফিলতি করেছেন। মৃত্যুর দায়ভার কম্পানিকে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকার বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ ৪১ জন নিহত হয়েছেন। কয়েক শ মানুষ দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৪১ জনের মধ্যে ২৫ জনের নাম পরিচয় মিলেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..