×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-০১
  • ৭৫ বার পঠিত
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে ‘রাজপথে আন্দোলন’ গড়তে একমত হয়েছে বিএনপি-বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ বুধবার সংলাপের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধাণ সম্পাদক সাইফুল হক।

ফখরুল বলেন, 'আমাদের সিদ্ধান্ত এখন আমরা যারা একমত হচ্ছি তারা আমরা যৌথভাবেই আন্দোলন শুরু করব এবং যার যার জায়গা থেকে আন্দোলন শুরু করব। আন্দোলন যুগপৎ হবে এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ধারা নির্ধারিত হবে যে শেষ পর্যন্ত সেটা কিভাবে রূপ নিচ্ছে।


আমরা রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হয়ে কাজ করলে অবশ্যই এই দুঃশাসনকে পরাজিত করে জনগণের বিজয় অর্জনে সক্ষম হব। '
এ সময় সাইফুল হক বলেন, 'মানুষ দেখতে চায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আছে। মানুষ দেখতে চায় এই দুঃশাসন থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলোকে জনগণের পক্ষে একটা কার্যকর-সমন্বিতভাবে যুগপৎ ধারায় মাঠে আছে। ভবিষ্যতে এটাকে আমরা আরো জোরদার করব এবং আন্দোলনের কাজটাকে আমরা আরো সমন্বিত করব। '

বাম ঘরানার এই নেতা বলেন, 'আমরা মনে করি গণ-আন্দোলন ও গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে যদি পদত্যাগে বাধ্য করা না যায় মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কোনোটাই বাংলাদেশে নিশ্চিত করা যাবে না। সে জন্য আমরা আলাপ-আলোচনা করে আন্দোলনে ঐকমত্য হয়েছি। '

তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, 'আজকে বিরোধী দলগুলো যে উদ্যোগ নিয়েছে মানুষ তার নিজ নিজ জায়গা থেকে এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়াবেন এবং তারা আন্দোলনের সাথি হবেন বলে আমরা আশা করি। '

তিনি আরো বলেন, যুগপৎ আন্দোলন অর্থ বিএনপি-বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করবে না, তবে একই লক্ষ্য অর্জনে তারা কর্মসূচি আলাদাভাবে পালন করলেও তাতে সমন্বয় থাকবে।

সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতামত তুলে ধরে সাইফুল হক বলেন, 'কেবল সরকার পরিবর্তনের জন্য আমাদের এই আন্দোলন নয়। পুরো রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, পরিবর্তনে আমাদের এই আন্দোলন। '

তিনি বলেন, 'সামগ্রিকভাবে নির্বাহী বিভাগ এখন যেভাবে বিচার বিভাগ বা আইন প্রণয়ন বিভাগসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপরে যেভাবে সরকার কর্তৃত্ব করে এটা আধুনিক রাষ্ট্রের এটা সাধারণ যে ভারসাম্য তার পরিপন্থী। এ বিষয়ে আমরা গুণগত পরিবর্তন, সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়েও আলোচনা করেছি। পুরো রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থার একটা গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রয়োজন। আমরা আজকের আলোচনায় সংকট উত্তরণে আমাদের দলের ৩১ দফা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে পেশ করেছি। '

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, 'যেসব সংস্কারের কথা সাইফুল হক সাহেব বলেছেন আমরাও এসব সংস্কার নিয়ে আলোচনা করব। অল্প সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে আমাদের যৌথভাবে আমাদের বক্তব্য নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব। '

এদিন আলোচনার জন্য দুপুর সোয়া ১টায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, মাহমুদ হোসেন ও এ্যাপেলো জামালী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat