মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ১৭৫, লিটন দাস ১৪১। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ৩৬৫ রানের ৩১৬-ই মুশফিক ও লিটনের। বাংলাদেশের মোট রানের ৮৬.৫৭ শতাংশই এ দুই ব্যাটসম্যানের। তাতে আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডেরও মালিকও হয়ে গেলেন মুশফিক ও লিটন। ১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে দল অলআউট হয়েছে, এমন ইনিংসে শতকরা হিসাবে সবচেয়ে বেশি রান যে তাঁদেরই।
মুশফিক ও লিটন পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেপলার ওয়েসেলস ও পিটার কারস্টেনকে। ১৯৯২ সালে নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর সেটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট। ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সেই টেস্টে ম্যাচ জিততে ২০১ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। রানতাড়ায় প্রত্যাবর্তন টেস্টের চতুর্থ দিনটা ২ উইকেটে ১২২ রান নিয়ে শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক ওয়েসেলস ৭৪ ও পিটার কারস্টেন ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ দিনে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার মোটে ৭৯ রান।
সেই রানটাই করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কার্টলি অ্যামব্রোস ও কোর্টনি ওয়ালশের তোপে আর মাত্র ২৬ রান যোগ করেই ১৪৮ রানে অলআউট। অবিশ্বাস্যভাবে ৫২ রানে জিতে ক্রিকেট রূপকথার অংশ হয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। ওই ইনিংসেই দক্ষিণ আফ্রিকার মোট রানের ৮৫.১৩ শতাংশ করেছিলেন ওয়েসেলস ও কারস্টেন। ৭৪ রান করেছিলেন ওয়েসেলস, গ্যারি কারস্টেনের বড় ভাই পিটার করেন ৫২। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৪৮ রানের ১২৬ রানই ছিল তাঁদের।
রেকর্ড ছয় শূন্যেও
টেস্টে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ শূন্য ছয়টি। সেই বিশ্ব রেকর্ডের সঙ্গে ২০০২ সালেই পরিচয় হয়েছিল বাংলাদেশের। ক্যারিবিয়ান পেসার জার্মেইন লসনের তোপে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সেই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া বাংলাদেশের ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই শিকার ছিলেন লসনের। ৬.৫ ওভারে ৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন লসন।
এবার মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবারও ছয় শূন্য দেখল বাংলাদেশ। ইতিহাসে বাংলাদেশই প্রথম দল, দুবার যাদের ছয় ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
টেস্টে এক ইনিংসে ছয় শূন্য
এ জাতীয় আরো খবর..