পদ্মা সেতু আগামী জুন মাসের শেষের দিকে উদ্বোধন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি আরো জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নাম পদ্মা সেতুই থাকবে। পদ্মা সেতুর বিষয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বিকেল ৩টার দিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থপনা) আইন ২০২২, ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২২’ ‘ভূমি সংস্কার আইন ২০২২’ ও ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতি, বাংলাদেশ -২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, 'পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন। পদ্মা সেতু জুন মাসের শেষে উদ্বোধন হচ্ছে, এটা তো উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেই দিয়েছেন। আমরাও রেডি আছি ইনশাআল্লাহ। আশা করি, জুনের শেষ সপ্তাহের আগেই ব্রিজ রেডি হয়ে যাবে। উদ্বোধনের তারিখটা এখনো নির্ধারিত হয়নি। ডেটটা ধরে রাখেন জুনের শেষ দিকের কোনো একদিন, যেদিন উনি কমফোর্ট ফিল করবেন। অনেক জিনিস দেখতে হয়, সেগুলো দেখে আমরা আশা করি শেষ সপ্তাহের আগেই সেতু রেডি করে দিতে পারব। পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছে। ’
পদ্মা সেতুর নাম কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘পদ্মা সেতু’, ‘পদ্মা সেতু’ই হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে যেকোনো সময় ক্লিয়ার করবেন।
পদ্মা সেতুর টোল অনেক বলে অনেকেই বলছেন―এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যখনই যেখানে ব্রিজ নির্মাণ করে স্ট্যান্ডার্ড হলো ফেরির ১ দশমিক ৫ শতাংশ টোল (যেমন―ফেরিতে ১০০ টাকা হলে ব্রিজে ১৫০ টাকা) ধরা হয়। সেটা ধরেই করা হয়েছে। অনেকে পদ্মা সেতুকে বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে তুলনা করেন। বঙ্গবন্ধু সেতু হলো ৫ কিলোমিটার আর পদ্মা সেতু হলো ৯ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার। প্রায় দ্বিগুণ। তাই বলা যায়, পদ্মা সেতুর টোল বেশি ধরা হয়নি। '
তিনি আরো জানান, পদ্মা সেতুর টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে ১ শতাংশ হারে সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে। সুতরাং সেতু কর্তৃপক্ষকে ওই জায়গা থেকে টাকা উপার্জন করতে হবে। পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের স্থাপনার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পয়সা না দিয়ে যাওয়ার কোনো সিস্টেম নেই।
তিনি বলেন, ফিজিবিলিটি স্টাডিতে যেমন ছিল যে ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে টাকাটা (পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়) উঠে আসবে। এখন মনে হচ্ছে ১৬-১৭ বছরের মধ্যেই টাকাটা উঠে আসবে। মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ধারণা ছিল পদ্মা সেতু ১ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আনবে। এটা ২-এর কাছাকাছি চলে যাবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে।
এ জাতীয় আরো খবর..