×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-০২
  • ৬৪ বার পঠিত
সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ওয়েস্টমিনিস্টার ও সিপিএভুক্ত পার্লামেন্টসমূহকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। লন্ডনস্থ ওয়েস্টমিনিস্টার ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে হাউস অব কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল-এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সফর উপলক্ষে ওয়েস্টমিনিস্টার প্রাঙ্গনে ব্রিটিশ পতাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকাও উত্তোলন করা হয়।

সাক্ষাৎকালে তারা জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের ডায়াসপোরা এবং সামাজিক উন্নয়নসহ কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নে ওয়েস্টমিনিস্টার ও কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহ একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিগত সময়ে সিপিএ-এর চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহ এবং আইপিইউসহ অন্যান্য পার্লামেন্টারি সংস্থাসমূহের সাথে সমন্বয় করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তিনি অবদান রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন। এসব ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সহযোগিতা ও সমর্থন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, কমনওয়েলথ দেশসমূহের কনফারেন্স কমনওয়েলথ হেডস অফ গভর্নমেন্ট মিটিং-এ সরকারি পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি পার্লামেন্টসমূহের সাথে বিদ্যমান ও উদীয়মান ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করা যেতে পারে। বর্তমানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা পার্লামেন্টগুলোর সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করে যাচ্ছে। কমনওয়েলথও এই পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারে।  

স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে যেসব দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকা রয়েছে তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে, সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ সফলতার সাথে সংকট মোকাবেলা করছে। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পাশাপাশি বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী পার্সপেক্টিভ প্লান ও ডেল্টা প্লান গ্রহণ করেছে। এসব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ ও উদ্যোগসমূহের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ডায়াসপোরা ব্রিটেনে বেশ প্রশংসার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টসহ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ব্রিটিশ বাংলাদেশিগণ নিষ্ঠার সাথে ব্রিটেনের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন। একইসাথে তারা বাংলাদেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্রিটেনের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন। বাংলাদেশ পার্লামেন্টের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি ব্রিটিশ স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানান। স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।  

সাক্ষাতকালে ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ সাইদা মুনা তাসনিম ও সংসদ সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এম এ কামাল বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat