×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-১১
  • ৪২ বার পঠিত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রথমবারের মতো রাশিয়ার পশ্চিম কুরস্কে আক্রমণের কথা স্বীকার করেছে। শনিবার রাতে টেলিভিশন প্রচারিত এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী যুদ্ধকে আগ্রাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিবিসি রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় অভিযান শুরু পাঁচ দিন পর প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে ইউক্রেন।

এমন তথ্যে অবাক হয়েছে রাশিয়া। দেশটি সীমান্তের জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

অপরদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও সুমি অঞ্চলে রবিবার ভোররাতে রুশ বিমান হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, হামলায় কিয়েভে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তার চার বছরের শিশু নিহত হয়েছে।

এছাড়া টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে পোস্ট করা এক বিবৃতি অনুসারে, ১৩ বছরের এক শিশুসহ আরো তিনজন আহত হয়েছেন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রবিবার সকালে টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বেসামরিক মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার জন্য সতর্ক করেছে।

এর আগে শনিবারের ভাষণে জেলেনস্কি ইউক্রেনের সৈন্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া রাশিয়ায় অভিযান নিয়ে দেশটির সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কির সাথে আলোচনা করেছেন বলেও জানান।

তিনি বলেন, ইউক্রেন প্রমাণ করছে যে তারা প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং আক্রমণকারীদের ওপর প্রয়োজনে চাপও দিতে পারে।
 
গণমাধ্যমটি জানায়, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকায আক্রমণ করার সময় একটি আঞ্চলিক শহর দখল করার হুমকি দিচ্ছে। ২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে এটিই সবচেয়ে গভীর অগ্রগতি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাস নিউজ এজেন্সির তথ্য অনুসারে, ইতিমধ্যেই সীমান্ত এলাকা থেকে ৭৬ হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।  কুরস্কের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর অ্যালেক্সি স্মিরনভ রবিবার জানিয়েছেন, তিনি কর্মকর্তাদের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত জোক করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিবিসির তথ্য মতে, রাশিয়া বলেছে যে মঙ্গলবার সকালে এক হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা, ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে। এছাড়া আঞ্চলিক শহর সুদঝার দিকেও হুমকি দিচ্ছে।

শুক্রবার প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনীয় সেনারা দাবি করে যে তারা ওই এলাকাটি এবং সেখানে গ্যাজপ্রম কম্পানির মালিকানাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ রুশ গ্যাস ফ্যাক্টরির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

তবে বিবিসি নিশ্চিত করেছে যে ভিডিও ফুটেজটি সুদঝার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত গ্যাজপ্রম কম্পানীর মালিকানাধীন গ্যাস ফ্যাক্টরির। তবে ভিডিওটির দ্বারা পুরো শহর দখলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় না।

এর আগে রাশিয়ান সামরিক ব্লগাররা দাবি করেছিল যে শহরটি মস্কোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat