×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০১
  • ৫১ বার পঠিত
ইউরোপের জল, স্থল, আকাশপথে ন্যাটো শক্তি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ট্রান্স আটলান্টিক জোটের শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, ন্যাটোকে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র-তিন দিক থেকেই আরও শক্তিশালী করা হবে।

মঙ্গলবার মাদ্রিদে শুরু হওয়া ৩ দিনের ন্যাটো জোটের সম্মেলনটি শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এএফপি।

বাইডেনের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় মস্কো বলেছে, মাদ্রিদে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন প্রমাণ করছে জোটটি রাশিয়াকে আক্রমণাত্মকভাবে নিয়ন্ত্রণের নীতিতে একত্রিত হয়েছে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, ‘আমরা উত্তর আটলান্টিক জোটের সম্প্রসারণকে আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীলতার কারণ হিসাবে বিবেচনা করি।’

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে সাক্ষাতে বাইডেন যেসব ক্ষেত্রে শক্তি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. স্পেনের রোটাতে মার্কিন নৌ-বিধ্বংসী বিমানের বহরকে চার থেকে ছয়ে উন্নীত করা, ২. পোল্যান্ডে পঞ্চম আর্মি কর্পসের একটি স্থায়ী সদর দপ্তর করা, ৩. ৩ হাজার যোদ্ধা ও ২ হাজার কর্মী যুদ্ধ দল নিয়ে রোমানিয়ায় একটি অতিরিক্ত টহল ব্রিগেড তৈরি করা, ৪. বাল্টিক দেশগুলোতে পালাক্রমিক টহল ক্যাম্প আরও বাড়ানো, ৫. ব্রিটেনে এফ-৩৫ স্টিলথ প্লেনের দুটি অতিরিক্ত স্কোয়াড্রন মোতায়েন, ৬. জার্মানি এবং ইটালিতে অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা।

সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, ন্যাটো মিত্রদের সামরিক ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ন্যাটোকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং সেইসঙ্গে সংকট ও জরুরি প্রয়োজনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে, যেন নতুন এবং বর্ধিত হুমকি মোকাবিলা করা সহজ হয়।’ চলতি বছর ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা ব্যয় দেশটির জিডিপির ২.৩ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইদিনে রুশপ্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে এক ব্যতিক্রমী মন্তব্য করেছেন জনসন। ন্যাটো বৈঠকের আগে তিনি বলেন, পুতিন নারী হলে ইউক্রেন আক্রমণ করতেন না। বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালানোর মতো ‘পাগলামি ও দাম্ভিক’ সিদ্ধান্তটি আসলে ‘বিষাক্ত পুরুষত্বের একটি নিখুঁত উদাহরণ’। আর এই কারণেই ‘ক্ষমতার বিভিন্ন পদে আরও বেশি সংখ্যক নারীর’ অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন জনসন।

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আবেদনে রাজি তুরস্ক

অবশেষে ন্যাটো জোটে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সদস্যপদ আবেদনে সমর্থন দিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনে বৈঠকের পর তিনটি দেশ এ ব্যাপারে একটি যৌথ স্মারকে সই করে। খবর বিবিসির।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান, ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসটো ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা।

এদিকে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলের সঙ্গে বাস-ট্রেন সংযোগ চালু করছে রাশিয়া। বুধবার রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মস্কো অধিভুক্ত ক্রিমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের দখলকৃত খেরসন এবং ঝাপোরিঝঝিয়ার মধ্যে বাস ও ট্রেন সেবা চালু করছে। আট বছরে প্রথমবারের মতো পহেলা জুলাই থেকে নিয়মিত বাস এবং ট্রেন সেবা পেতে যাচ্ছে এ অঞ্চলের বসবাসকারীরা। এক টেলিগ্রাম বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন, ক্রিমিয়ার মস্কোপন্থী প্রধান সের্গেই আকসিওনভ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat