শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় দেশব্যাপী স্থাপিত ২০৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৫৮ জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়ন রয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ও আজ শুক্রবার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুইটি দল জামালপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করা কয়েদিদের বাধা দেয় এবং কারাগারে রাখা অস্ত্র ও গোলাবারুদ সুরক্ষিত করে। সেইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা প্রতিহত করার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নোয়াখালী জেলার একটি মন্দিরে দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণ প্রতিহত করে সেনাবাহিনী। এ ছাড়াও কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পে নিরাপত্তা দিতে সেনা সদস্য মোতায়েন হয় এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ পেট্রোল পরিচালনা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতোমধ্যে সেনা মোতায়ন করা হয়েছে, যা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে ত্বরান্বিত করবে। সেইসঙ্গে বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহাখালী ডাটা সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপতৎপরতা চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, দেশবাসীকে এ ধরনের গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের বিচার-বিবেচনা প্রয়োগ করতে অনুরোধ করা হলো। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
এ জাতীয় আরো খবর..