জাসপ্রীত বুমরাহ একাদশে থাকলে কী করতে পারেন তা ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দেখিয়ে আসছেন তিনি। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যা করেছেন তা হয়তো এখনো অনেকের কাছে স্পষ্ট।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো অনেকে ভুলে যাবে তবে বুমরাহর বোলিংটা সম্ভবত ভুলতে পারবে না দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যখন দ্বারপ্রান্তে প্রোটিয়ারা ঠিক তখনই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভারতীয় পেসার।
হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ৩০ বলে ৩০ রানের সমীকরণটা নিশ্চয়ই আধুনিক যুগে কঠিন কিছু না। সেই সমীকরণটাই দক্ষিণ আফ্রিাকাকে মেলাতে দেননি বুমরাহ। জয়টা এইডেন মার্করাম-ডেভিড মিলারদের মুখ থেকে যেন কেড়ে নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি।
শুধু ফাইনালেই নয় পুরো বিশ্বকাপেই ব্যাটারদের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল পানি নামিয়েছিলেন বুমরাহ।
১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার থেকেও বড় কথা অন্য বোলাররা যখন মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তখন তিনি ৪.১৭ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন। তার মতো অবিশ্বাস্য পারফর্মারকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়ার মূল্য হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ভারত।
শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করলেও ওয়ানডেতে হেরেছে ভারত।
২৭ বছর পর রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরেদ বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ১৯৯৭ সালে জিতেছিল কুশল মেন্ডিজ-চরিত আসালাঙ্কাদের দল। তাই বুমরাহর না থাকা মানে ভারতীয় বোলিং লাইন আপ ছন্নছড়া বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার জুনাইদ খান।
বুমরাহকে ছাড়া ভারতের বোলিং লাইন আপের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ সিরাজ ও আর্শদ্বীপ সিংহরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই সামাজিক মাধ্যম এক্সে সাবেক বাঁহাতি পেসার জুনাইদ লিখেছেন,‘আপনারা কি একমত? বুমরাহ ছাড়া ভারতীয় বোলিং জিরো।
এ জাতীয় আরো খবর..