ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের হাতে কেউ আটক নেই। বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে শিরিন হকের নেতৃত্বে মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিনিধিদলকে এ তথ্য জানায় ডিজিএফআই।
এদিন সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ডিজিএফআই সদর দপ্তরে যান মানবাধিকারকর্মীরা। সেখানে ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিরিন হক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বলেন, ‘ডিজিআইএফ জানিয়েছে ঢাকায় এই মুহূর্তে তাদের হাতে কেউ আটক নেই।
তারা আমাদেরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তারা যৌথ কমিশন গঠন করে খতিয়ে দেখবেন দেশের অন্যান্য জায়গায় সেনাদের হাতে কেউ গুম হয়ে আছেন কি না।’
শিরিন হক আরো বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে এখন সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’
তবে ডিজিআইএফের বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সন্তুষ্ট নয়।
বুধবার দুপুর দেড়টায় তাদেরকে ডিজিএফআইয়ের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর গুম হওয়া আতাউর রহমানের স্ত্রী নাদিরা সুলতানা আজ ঢাকায় ছুটে আসেন তার নিখোঁজ স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বামী গুম হওয়ার পর ঢাকা ছেড়ে যাই। এখন মাদারীপুরে থাকি।
সবাইকে বলেছি ঢাকায় যাচ্ছি মেয়ের বাবাকে ফিরিয়ে আনতে। ভোররাত ৩টার দিকে মাদারীপুর থেকে রওনা হই।’
ডিজিএফআইয়ের সদর দপ্তরে যাওয়া প্রতিনিধিদলে ছিলেন ‘অধিকার’ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, ‘মায়ের ডাক’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা সানজিদা ইসলাম তুলি ও শিক্ষাবিদ সিআর আবরার।
গতকাল ডিজিএফআই জানায়, গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের নির্যাতনের স্থান হিসেবে পরিচিত ‘আয়নাঘরে’ রাখা হয়েছিল তাদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বুধবার জানানো হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..