ইরান মঙ্গলবার এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। ২০২২ সালে দেশজুড়ে বিক্ষোভের সময় বিপ্লবী গার্ডের এক কর্মকর্তাকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোলামরেজা রাসাইর মৃত্যুদণ্ড স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম ইরানের কেরমানশাহ কারাগারে কার্যকর হয়েছে।
তিনি ২০২২ সালের নভেম্বরে বিক্ষোভের সময় বিপ্লবী গার্ডের একজন কর্নেলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
পুলিশে হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর কারণে ২০২২ সালে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের জন্য দেশটির কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ডজন সদস্যসহ শতাধিক লোক নিহত হয়।
কর্তৃপক্ষ এ বিক্ষোভকে বিদেশিদের প্ররোচিত ‘দাঙ্গা’ হিসেবে চিহ্নিত করে ও হাজারো মানুষকে গ্রেপ্তার করে।
মিজান বলেছে, ‘প্রতিশোধ নেওয়ার’ বিষয়ে ইসলামী শরিয়া আইন অনুযায়ী ২০২৩ সালের অক্টোবরে রাসাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং রায় পরে সুপ্রিম কোর্টও বহাল রাখেন।
এএফপি বলেছে, রাসাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের ফলে বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা বা অন্যান্য সহিংসতার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে পৌঁছেছে। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের কয়েক বছর পর থেকে ইরানে নারীদের জন্য ঘাড় ও মাথা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির মতে, চীন ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ইরান প্রতিবছর বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ইরান সাধারণত ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে থাকে।
এ জাতীয় আরো খবর..