সরকারি চাকরিতে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের এসব ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে গতকালের এসব ঘটনায় অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ এবং এক হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের এসব ঘটনা ঘটে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির বাইরে গতকাল সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সড়কে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানকালে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। কোথাও দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে আবার কোথাও রাজপথ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের চেষ্টা চালায় পুলিশ।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি হলে কোথাও কোথাও পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।
এদিকে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল বিকেল ৩টার পর দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
অন্যদিকে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকে কটাক্ষ, রাজাকারের সাফাই এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শুরুতে রাজধানীর ইসিবি চত্বর ও কুড়িল বিশ্বরোডে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। এই অবরোধ ধীরে ধীরে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, উত্তরা, নিকুঞ্জ, আসাদগেট, কল্যাণপুর, শ্যামলী, গাবতলী, রামপুরা, বাড্ডাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
বেলা গড়াতে থাকলে রাজধানীর অদূরে সাভার, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড, খুলনা, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ বিস্তার লাভ করে। সড়ক অবরোধের পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রামসহ কয়েকটি মহাসড়ক এবং রেলপথও অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংঘর্ষে নিহত ৬
গতকাল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের সংঘর্ষের সময় নিহত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহজাহান (২৫)। তিনি নিউ মার্কেট এলাকার হকার ছিলেন। তাঁর মা আয়েশা বেগম এবং মামা মোসলেম উদ্দিন গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢামেক মর্গে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।
মামা মোসলেম উদ্দিন বলেন, শাহজাহান নিউ মার্কেট এলাকায় ও বলাকা সিনেমা হলের সামনে পাপোশ বিক্রি করতেন। কামরাঙ্গীর চর চান মসজিদ এলাকায় তাঁর বাসা। স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে নিয়ে শাহজাহান সেখানেই থাকতেন।
অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ধানমণ্ডির সিটি কলেজ এলাকায় নিহত হয়েছেন মো. মনির (২৫) নামের এক যুবক। মাথায় ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, শরিফ ও আকাশ মামুন নামের দুই ব্যক্তি মনিরকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী, অন্যজন পথচারী এবং আরেকজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওয়াসিম আকরাম (২৩), পথচারী মো. ফারুক (৩৩) এবং ফিরোজ আহমেদের (২৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়া ছাড়াও কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পথচারী আহত হয়েছে।
এদিকে গতকাল রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ (২২) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী জানান, কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
জানা গেছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গতকাল বিকেলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ এক পর্যায়ে রাবার বুলেট ছুড়লে কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ পথচারী আহত হয়। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন।
আন্দোলনে নেমেছে কলেজ শিক্ষার্থীরাও
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে গতকাল কলেজ শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছে। এদিন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব এবং নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা মতিঝিলে সড়ক অবরোধ করে। এ ছাড়া খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ কর্মসূচিতে কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গত রবিবারের মতো গতকালও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
বিকেল ৪টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন। একই সময়ে ছাত্রলীগের সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেছে।
এদিকে বিভিন্ন কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা এসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হতে থাকে। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেয় মির্জা গোলাম হাফিজ কলেজ, সাভার সরকারি কলেজ, বিপিএটিসি কলেজ, বেপজা কলেজ, সাভার ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ধামরাই সরকারি কলেজ, সাভার ল্যাবরেটরি স্কুলসহ আরো কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সড়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে দিনব্যাপী চলতে থাকে সংঘর্ষ। কোথাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ, কোথাও অগ্নিসংযোগ আবার কোথাও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষে বাঁশ, রড, এসএস পাইপ, হকিস্টিক ও হেলমেট ব্যবহার করতে দেখা যায়। উভয় পক্ষের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকা। সকাল থেকেই সায়েন্স ল্যাব মোড়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। রাজধানীর রায়সাহেববাজার এলাকায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
সংঘর্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পথচারী ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন সহকারী প্রক্টর ড. আবদুল মুহিত, ড. হাসান ফারুক, ড. ফারজানা ও ড. ইমামুল হক। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে রয়েছেন জবির ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস, ১৭ ব্যাচের অন্ত, ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিক।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের পাশাপাশি কুমিল্লায় পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর, বগুড়ায় জাতির পিতার ম্যুরাল ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
৬ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধের কারণে সারা দেশে যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, রংপুর ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রেললাইন অবরোধ
আন্দোলনকারীরা রাজধানীর মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ করলে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা ফার্মগেটে মেট্রো রেল অবরোধের চেষ্টা করেন। তবে ছাত্রলীগ প্রতিরোধ করলে আন্দোলনকারীরা ফিরে আসেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পদত্যাগ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় দেশজুড়ে ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখা থেকে তাঁরা পদত্যাগ করেন।
ঢাকার বাইরে আরো যেসব এলাকায় অবরোধ হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় কোটা আন্দোলনকারীরা মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাঠিসোঁটা হাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন, গাজীপুরের জয়দেবপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রেলপথ অবরোধ করেন, জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সংঘর্ষে শহর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নিরবসহ আহত হয় তিন জন। কিশোরগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের হামলা, সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরি গেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় অবরোধ করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। কক্সবাজারে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। আশুলিয়া-গাবতলী-ধউর সড়ক অবরোধ করেছেন ড্যাফোডিল, ইস্টার্ন, সিটি ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের ওপর ককটেল হামলা করা হয়েছে। দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়কে বিক্ষোভ করেন, বরিশাল বিএম কলেজ গেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুই বাসে আগুন
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। গত রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন দেওয়ার এই ঘটনা ঘটে। তবে আগুনের এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হাইকোর্ট থেকে পল্টনের দিকে যাওয়ার পথে সচিবালয় এলাকায় মেট্রো রেল স্টেশনের সামনে বাস দুটিতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল আজ
নিহতদের জন্য আজ বুধবার দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল’ অনুষ্ঠিত হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলায় জেলায় গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল পালন করার আহ্বান জানিয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..