ভারি বৃষ্টিপাত ও শক্তিশালী ঝড়সহ স্থানীয় সময় বুধবার জ্যামাইকার উপকূলে আঘাত হেনেছে হারিকেন বেরিল।
এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের কিছু অংশে তাণ্ডব চালায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ওই অঞ্চলের দ্বীপগুলোতে ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এর মধ্যে ভেনিজুয়েলায় তিনজন, গ্রেনাডা দ্বীপপুঞ্জে তিনজন এবং সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইনে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে আটলান্টিক মহাসাগরে উৎপন্ন এই ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে পাঁচ ক্যাটাগরির হারিকেনে রূপ নেয়। যেটি প্রতি ঘণ্টায় ২৫১ কিলোমিটার বেগে এগোতে থাকে। যার ফলে একে সাফির-সিম্পসন হারিকেন স্কেলে সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, হারিকেন বেরিলের আঘাতে বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং থানা, স্কুল, হাসপাতাল ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গ্রেনাডার প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল বলেছেন, মাত্র ‘আধা ঘণ্টার মধ্যে’ গ্রেনাডার ক্যারিয়াকো দ্বীপটি ‘বিধ্বস্ত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৯ হাজার লোকের বাসস্থান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যারিয়াকোর সঙ্গে আমাদের ১২ ঘণ্টা ধরে কার্যত কোনো যোগাযোগ নেই। নিশ্চিতভাবেই সেখানে হতাহতে সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
দ্বীপটির ৯৮ ভাগ ভবন ও বাসস্থানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে হারিকেন বেরিল স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ২৩৩ কিলোমিটার বেগে জ্যামাইকা উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে। বিপজ্জনক ৪ ক্যাটাগরির হারিকেন হিসাবে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এটি জামাইকার স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) তথ্য অনুসারে, হারিকেন বেরিল এরপর কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাবে এবং তারপরে বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপে প্রবেশ করবে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, বছরের এই সময়ে আটলান্টিকে এত মাত্রার হারিকেন আগে কখনও রেকর্ড করা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর তীব্রতা এবং বিধ্বংসী প্রভাব এতটাই বেশি, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উষ্ণায়নের পরিণতি।
ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, এ বছর আটলান্টিকে ১৩টি হারিকেন উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এ জাতীয় আরো খবর..