×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৭-০২
  • ৬২ বার পঠিত
দুর্নীতি রোধে আমাদের নীতি আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। তিনি বলেন, ‘বলার সময় আমরা বলছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু কাজের বেলার তার প্রয়োগ নেই। ফলে একজন দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে এবং তাকে দেখে আরেকজন দুর্নীতি করার সাহস পেয়ে যাচ্ছে।

এ কারণেই আজ দুর্নীতি এতো পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা ও মানবাধিকার সংস্থা এম্পাওয়ারমেন্ট থরু ল অফ দ্য কমন পিপল (এলকপ)-এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনাসমূহ' শীর্ষক আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই বাধাগ্রস্ত করে না।

বৈষম্য ও দারিদ্র্যকেও বাড়িয়ে দেয়। দুর্নীতির প্রধান কারণ নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়। এই দুর্নীতিবাজদের রুখতে সরকারের দুষ্ট চক্রকে (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির আওয়াত আনতে হবে। মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

সব নাগরিকের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও দেশের ন্যায়সঙ্গত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এলকপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান। বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার। এছাড়াও বক্তব্য দেন এলকপ-এর নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, দুর্নীতি আমাদের সমাজের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়।

তা রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করে দেয়। এই মহামারী মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat