আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি করলে কি ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? রাজনীতিবিদরা কি চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে? রাজনীতিবিদরা সৎ ব্যবসা করলে আমাদের আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স।
শনিবার সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা কথা বলতে চাই- ওয়ান ইলেভেনে যেটা দেখেছি, সুপরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো হয়েছে। অথচ এই দেশ স্বাধীন করেছে রাজনীতিবিদরা। দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদরা। সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তারা ব্যর্থ- এটা প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি, এর বিরুদ্ধে প্রস্তুত আছি।
বাঙালি জাতির জীবনে দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন; একটি হলো বাঙালির স্বাধীনতা অন্যটি উন্নয়ন- এই দুটি অর্জনই আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে দেখছি না। আমরা প্রাপ্তির খাতা হিসাব করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তিটা হচ্ছে রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে। এই সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা ও পরাভূত করা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বার্তা নতুন কিছু না। আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন করব। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। আন্ডারগ্রাউন মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা ও রূপপুরের মতো উন্নয়ন কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..