×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২১
  • ১০১ বার পঠিত
ছাগলকাণ্ডে ছেলে ভাইরালের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের একাধিক বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও প্লটের তথ্য বেরিয়ে আসছে। গাজীপুর, নরসিংদী ও ময়মনসিংহে খোঁজ মিলেছে তার একাধিক রিসোর্ট ও ফ্যাক্টরির। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে শতকোটি টাকা। তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

আলোচনার কেন্দ্রে এখন ১৫ লাখ টাকার ছাগল এবং সেই ছাগল ক্রেতার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমান। ছাগলের হিসাব-নিকাশ বাদ দিয়ে এখন আলোচনা চলছে মতিউর রহমানের সম্পদ নিয়ে।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি এই কর্মকর্তা দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এরইমধ্যে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য জানতে মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু সম্পদের তথ্যও পাওয়া গেছে।
 
পুবাইলের খিলগাঁও মৌজায় ৫৫ বিঘা জমিতে মতিউর রহমানের আপন ভুবন পিকনিক অ্যান্ড শুটিং স্পট। এই রিসোর্টে ১০০ টাকার টিকিট কেটে যে কেউ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরতে পারেন। নাটক, সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ভাড়া দেয়ার বাইরেও এখানে আছে অবকাশ যাপনের সুযোগ।
 
মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির নামে নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে শতবিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে লাকি পার্ক নামে আলিশান রিসোর্ট, যার বর্তমান নাম ওয়ান্ডার পার্ক। এই পার্ক তৈরি করতে গিয়ে জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
 
স্থানীয়রা বলছেন, লোকজন নিয়ে এসে জায়গা জোর করে দখল করেছে। জায়গা একদিকে কিনলে আরেক দিকে দখল করে মাঝখানের জায়গা ব্লক করে ফেলে। কাউকে হয়তো অনেক দিন ঘুরিয়ে অল্প টাকা দেয়, আবার কাউকে দেয় না। টাকাওয়ালা লোকের সঙ্গে পেরে ওঠা সম্ভব হয় না।
 
ময়মনসিংহের ভালুকা থানার সিডস্টোর এলাকার পাশেই প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ওপর মতিউর রহমানের গ্লোবাল জুতা ফ্যাক্টরি। এই ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান তিনি নিজেই। বিভিন্ন দেশে রফতানি হয় এই ফ্যাক্টরির জুতা।
 
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাততলা একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় বসবাস করেন মতিউর রহমান। জানা যায়, এই এলাকায় মতিউর রহমান, তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের নামে রয়েছে একাধিক প্লট।
  
গাজীপুর সদর, রাজধানীর খিলগাঁও, সাভার থানার বিলামালিয়া মৌজায় তার জমির খোঁজ মিলেছে। মতিউর পরিবারের সদস্যদের রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি যেগুলোর দাম কোটি টাকার ওপর।
 
এর বাইরেও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার শতকোটি টাকার তথ্য এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
 
সূত্র বলছে, এরইমধ্যে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat