ঈদযাত্রার শেষ দিনে শেকড়ের টানে ছুটছে নগরবাসী। বাড়ি ফেরার কাছে যেখানে তুচ্ছ জীবনের নিরাপত্তা। বিবেক আর বিবেচনাবোধ শিকেই তুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ যেন ঈদ যাত্রায় প্রাণান্তকর চেষ্টা।
ঈদযাত্রার শেষদিন রোববার ভোর থেকেই ভেঙে পড়ে ট্রেনের শৃঙ্খলা। এদিন উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল ছাদ ভর্তি মানুষ। ঘরমুখী বেপরোয়া যাত্রীদের ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে আরএনবি কিংবা রেল পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়নি।
ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ভিড়লেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি, কাঙ্ক্ষিত আসন পর্যন্ত যেতে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত হন যাত্রীরা। কানায় কানায় ভরে ওঠে ট্রেন, পা ফেলার জায়গা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ওঠেন বাড়ি ফিরতে মরিয়া মানুষ।
প্রচণ্ড ভিড় আর ঠাসাঠাসিতে ভোগান্তি যেন বাড়ে বহুগুণ। তারপরও যারা আসন পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন তাদের ঈদের খুশি যেন তখন থেকেই শুরু। কিন্তু ভেতরে ফ্যান নষ্ট থাকায় গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার খবরও জানিয়েছেন যাত্রীরা।
এবারের ঈদযাত্রা সফল দাবি করে রেল বলছে, শত চেষ্টা করেও ছাদে ভ্রমণ ঠেকানো যায়নি। তাদের দাবি, অতিরিক্ত গরমের কারণেই যাত্রীরা ভেতরে না গিয়ে ছাদে উঠেছেন। তারা চেষ্টা করেও নামাতে পারেননি।
শিশুকে ট্রেনের ছাদে তুলে দিয়ে এবার দুই জনের সাহায্যে মা নিজে উঠার চেষ্টা করছেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
এদিকে, এবারের ঈদ যাত্রায় শিডিউল বিপর্যয়ের বড় নজির হয়ে থাকবে রাজশাহীর সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস। ট্রেনটি প্রায় ৬ ঘণ্টার শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ। ফলে দুপুর পৌনে ৩টায় ঢাকা থেকে এ ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি যেতে যেতে রাত প্রায় ৯টা বাজবে।
এমন অবস্থায় অনলাইনে ওই ট্রেনের টিকিটধারী যাত্রীদের টিকিট ফেরত দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। চাইলে যাত্রীরা টিকিট বাতিল করতে পারবেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৭টায় এই ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু দুটি বগি ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার কারণে ট্রেনটি সকালে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসতে পারেনি। ফলে দুপুরে ঢাকা থেকেও ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারবে না।
রোববার ৪৩টি আন্তঃনগরসহ লোকাল-মেইল মিলিয়ে ৬৯টি ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা। এসব ট্রেনে প্রায় দেড় লাখ লোক ঢাকা ছাড়তে পারবে বলে আশা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এ জাতীয় আরো খবর..