অধস্তন আদালতের বিচারকরা (বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা) আর ওই আদালতে ওকালতি করতে পারবেন না বলে পাঁচ বছর আগের রায়ই বহাল রাখেলেন আপিল বিভাগ। ওই রায় পুনর্বিবেচনা করতে সাবেক দুই বিচারকের আবেদন খারিজ করে আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। বার কাউন্সিলের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, “অধস্তন আদলতের বিচারক হিসেবে কমপক্ষে দশ বছর বিচাররকাজ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে এমন সাবেক বিচারকরা সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে (উত্তীর্ণ হলে) হাইকোর্টে আইন পেশা (ওকালতি) পরিচালনা করতে পারবেন। অধস্তন আদলতে পারবেন না। ”
১৯৯৮ সালের ১২ মার্চ ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনারস অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২’র ২১ (৩) বিধি সংশোধন করে বলা হয়, অধস্ত আদালতের সাবেক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা (বিচারক) অধস্তন আদালতে ওকালতি করতে পারবেন না। তারা কেবল হাইকোর্টে আইন পেশা পরিচালনা করতে পারবেন। সংশোনীর আগে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের আগে সাবেক বিচারকরা অধস্তন আদালতে ওকালিত করতে পারতেন। পরে এ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একাধিক রিট করেন অধস্তন আদালতের সাবেক বিচারক একেএম ফজলুল করিমসহ আরও অনেক সাবেক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা।
সে সব রিটের শুনানির পর ২০১০ ও্ ২০১৬ সালে আলাদা দুটি রায়ে হাইকোর্ট সে সংশোধনী বাতিল করেন। ফলে অধস্তন আদালতে ফের ওকালিত করার সুযোগ পান সাবেক বিচারকরা। কিন্তু হাইকোর্টের দুটি রায়ই চ্যালেঞ্জ করে আপিল করে বার কাউন্সিল। ২০১৭ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দুটি রায়ই বাতিল করে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনারস অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২’-এ ১৯৯৮ সালের সংশোধনী বহাল রাখেন। এরপর তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন সাবেক বিচারক একেএম ফজলুল করিম ও শাহ-ই-আলম চৌধুরী।
এ জাতীয় আরো খবর..