ঈদের নাটক-টেলিছবির শুটিংয়ে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন তৌসিফ মাহবুব। এক ফাঁকে ঈদের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন হৃদয় সাহা।
ব্যস্ততা কেমন?
বেশ। ঈদের বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং সম্পন্ন করেছি, আরো কিছু বাকি।
এখন শুটিং করছি প্রবীর দাদার (প্রবীর রায় চৌধুরী) নাটক ‘লাভ অ্যাঞ্জেল’-এর। গল্পটা ট্রেন্ডি, বিয়েবাড়ি নিয়ে। প্রবীর দাদা বড় আয়োজনে নাটক বানান। এই নাটকে আমার সহশিল্পী তানজিম সাইয়ারা তটিনী।
নাটকটি দর্শককে ভিন্ন স্বাদ দেবে।
ঈদের নাটক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় খেয়াল রাখেন?
আমি প্রতিবারই ঈদের নাটকগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করি—বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক। দর্শকদের মধ্যে সবার পছন্দ তো এক নয়। এ জন্য বাণিজ্যিক নাটক করি সাধারণ মানুষের কথা ভেবে।
তারা এগুলো পছন্দ করে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছেও এগুলো পৌঁছে যায়, ভিউয়ের দিক থেকেও এগিয়ে থাকে। এর বাইরে কিছু ভালো গল্পের নাটক করি অভিনয়ের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য। এই কাজগুলোরও বিশেষ দর্শক আছে। আমি নিজে করে যেমন আনন্দ পাই, ভক্ত-সমালোচকরাও খুশি হন।
এবারের ঈদে কতটি নাটক আসছে আপনার?
নির্দিষ্টসংখ্যা এখনই বলতে পারছি না। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজের কথা বলতে পারি। জাকারিয়া শৌখিনের ‘রূপকথা’ অনেক দিন আটকে ছিল, এবার ঈদে আসবে নাটকটি। এটা নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। মিশুক মিঠু ভাইয়ের ‘সেই সব মানুষ ও মাছের গল্প’ নাটকটিও ভিন্ন ধাঁচের। এ ছাড়া ‘লাভ রেইন’, ‘সামার ব্রেক’, ‘নয়ন তারা’, ‘শুরুর দিনগুলো’সহ বেশ কিছু নাটক আসবে। ভিকি জাহেদের সঙ্গে একটি নাটক করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া আগের শুটিং করা কিছু নাটকও আসতে পারে।
নির্মাতা-চিত্রনাট্যকারদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, অভিনয়শিল্পীরা চিত্রনাট্যে কাটাছেঁড়া করেন। এটা কি সত্য?
হ্যাঁ, পরিবর্তন করি। আমি মিথ্যা বলব না। অভিনয় করতে গিয়ে যখন বুঝতে পারি, এই অংশে পরিবর্তন আনলে নাটকের জন্য ভালো হবে, তখন পরিবর্তন করি। একজন নাট্যকার তো একই সঙ্গে একাধিক গল্প লেখেন। সবটিতে সমান নজর দেওয়া সব সময় তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় না। পরিচালকেরও নানা চিন্তা থাকে। তাই আমরা স্বপ্রণোদিত হয়েই এ কাজটা করি। এটাকে লেখার দুর্বলতা বলব না; বরং একটু উন্নতির (ইমপ্রোভাইজ) চেষ্টা বলতে পারেন। প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর দর্শক-ভক্ত রয়েছে, তাই প্রতিযোগিতাও আছে। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যেন আমার নাটকটি ভালো হয়, সে চেষ্টাটা থাকে।
নাটকের মান ভালো রাখার পথে মূল প্রতিবন্ধকতা কী?
দেখুন, ভালো মানের নাটকের জন্য সময়ের প্রয়োজন। ‘রূপকথা’ নাটকের শুটিং করতে আমার ১৩ দিন সময় লেগেছিল। এই সময়ে অন্তত ৬টি নাটক করা যেত। কিন্তু এত সময় তো আমরা প্রতিটি নাটকে দিতে পারি না। ব্যস্ততা থাকে, অন্য কাজে শিডিউল দেওয়া থাকে। বাজেটেরও একটা বিষয় থাকে। তাই সবাই স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে চায়। নাট্যকার, নির্মাতাদের আসলে কিছু করার থাকে না। তবে বিশ্বাস করি, পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে মানের উন্নতি অবশ্যই হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..