জাতিসংঘের অনুমোদনের পর বাইডেন প্রশাসন গাজায় শান্তি পরিকল্পনা কার্যকর করতে পারে কিনা, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। হামাস প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির দাবি করছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় অস্ত্রবিরতির জোরালো উদ্যোগ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই প্রচেষ্টার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও আইনি স্বীকৃতি নিয়ে তার প্রশাসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে এক প্রস্তাব অনুমোদন করাতে পেরেছে।
শুধু রাশিয়া এই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত ছিল। নিরাপত্তা পরিষদ বাইডেনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সব পক্ষের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ও নিঃশর্তে সেই উদ্যোগ কার্যকর করার ডাক দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইসরায়েল ইতোমধ্যে সেই পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছে। এবার হামাসকেও সেই প্রস্তাব মেনে নিতে হবে।
হামাস নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিকে স্বাগত জানিয়েছে। মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সেই পরিকল্পনা কার্যকর করার সদিচ্ছাও প্রকাশ করেছে গোষ্ঠীটি।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অস্ত্রবিরতির একাধিক প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বাইডেন প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
এবার নিজস্ব উদ্যোগে এমন প্রস্তাব এনে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন বাইডেন।
তবে হামাস ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের যে দাবি করছে, ইসরয়েল তা পুরোপুরি নাকচ করে দেওয়ায় আমেরিকার পক্ষে শান্তি পরিকল্পনা কার্যকর করা কঠিন হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। গাজায় হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার আগে ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত নয়।
বাইডেন প্রশাসন ধাপে ধাপে সেই স্থায়ী অস্ত্রবিরতির পথে এগোতে চাইলেও আপাতত অনেক বাধার মুখে পড়ছে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এই উদ্যোগকে সঠিক দিশায় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। ব্লিংকেন নেতানিয়াহুকে গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনার গুরুত্বের কথা বলেছেন।
এদিকে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা থেকে বিরোধী নেতা বেনি গান্টজের বিদায়ের পর নেতানিয়াহু কট্টরপন্থি জোটসঙ্গীদের ওপর আরো নির্ভরশীল হয়ে পড়ায়, তার পক্ষে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জোটসঙ্গীরা সরকার ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..