×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৮
  • ৫৬ বার পঠিত
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীনের ফুফাতো ভাই এবং ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।

গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তবে কী কারণে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানাতে পারেননি পরিবারের সদস্য ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার (এসপি) আজিম উল আহসান বলেন, ‘ঢাকা থেকে ডিবির একটা টিম এসেছিল। তারা কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে নিয়ে গেছে। তবে কোন মামলা, কী ঘটনা—এসব বিষয়ে তারা কিছুই বলেনি। আমাদের শুধু জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নেওয়া হচ্ছে।

ডিবি বলছে, আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন বাবুর মামাতো ভাই। শাহীনের সঙ্গে সখ্যের কারণে এমপি আনার হত্যার আগে তাঁর অনেক আচরণ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। 

গতকাল বাবুর স্ত্রী কাজী শিরিনা আফরোজ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার স্বামীকে গত রাতে ডিবি নিয়ে গেছে।

 তারা ঢাকা থেকে এসেছিল। তাদের কাছে চানতে চেয়েছিলাম, কেন নিয়ে যাচ্ছেন? তারা শুধু বলেছে, তাঁর সঙ্গে কিছু কথা আছে। এর বেশি কিছু জানি না এবং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
শহরের কচাতলা এলাকাসংলগ্ন কাজী কামাল আহমেদ বাবুর বোনের বাসায় গিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সে সময় বাসার সামনে থাকা বাবুর বড় বোন জেসমিন বলেন, ‘আমরা ৯ ভাই-বোন।

আমি বড়। গতকাল বাবুকে কেন নিয়ে গেছে, তা আমি জানি না। সকালে বিষয়টি জানতে পেরেছি।’ আখতারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে বাবুর সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শাহীন আমাদের মামাতো ভাই।’
বিষয়টি নিয়ে আখতারুজ্জামান শাহীনের ভাই কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘আমরা বাবুর মামাতো ভাই। তবে খুব আপন সম্পর্কের না।’

এদিকে এমপি আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক সিয়ামকে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে নেপাল পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশ কশিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, কলকাতার অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সিয়ামকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেখানে ঘটনা সংঘটিত হয়, সেখানে তদন্ত হয়। তবে বাংলাদেশের আইনে আছে, বিদেশে যদি কোনো বাংলাদেশি অপরাধ করে থাকে, সেই অপরাধীকে বাংলাদেশে এনেও বিচার করতে পারি। এ ঘটনা ভারতও তদন্ত করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশও তদন্ত করছে। তদন্তের বিষয়ে দুই দেশ এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ঝিনাইদহ সংবাদদাতা]

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat