×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৬
  • ৪৯ বার পঠিত
দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। নতুন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে আরও ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে ও ১০টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়া হয়ে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ এবং ঢাকা-জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভূভুলতা-মদনপুর প্রবেশ-নিয়ন্ত্রিত মহাসড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিয়াপুর থেকে নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ৩৯.২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ হাজার ৪৩৯টি সেতু নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৮৫১.৬২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে ৬টি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এরইমধ্যে এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু করা হয়েছে, যা দ্রুতগামী, দূষণমুক্ত, সময়সাশ্রয়ী, অত্যাধুনিক নগর পরিবহন হিসেবে নারী-পুরুষ সবার কাছে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়েছে।
 
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তর-মধ্যাঞ্চলের সংযোগ সৃষ্টি হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম শহরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে একাধিক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল দ্রুততম সময়ে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে উন্নত ও দীর্ঘ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে মোংলা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ৬৪.৭৫ কিমি ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করা হয়েছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার নতুন রেল যোগাযোগ চালু হওয়ায় উক্ত সেকশনটি ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং উপ-আঞ্চলিক করিডোরের একটি বড় অংশ হিসেবে কাজ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রায় সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমানে ১০.৫ মিটার ড্রাফটবিশিষ্ট ৪০-৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ এ বন্দরে চলাচল করছে। এ ছাড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat