আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জালনোট ছড়িয়ে পড়া রোধে নদীর পাড়ের ১০৮টি হাটে জাল নোট শনাক্তের মেশিন রাখা হবে। এছাড়া ছিনতাই, ডাকাতি চাঁদাবাজি যাতে না হয় সেটিও নিশ্চিত করা হবে। ১৪ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ফেরীতে চলাচল বন্ধ রাখা হবে। পশু ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ ও নির্ঝঞ্জাট করতে নৌপুলিশ বদ্ধ পরিকর বলে জানিয়েছেন নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত নৌ-পুলিশের সদর দপ্তরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নৌপথে যাত্রী, পণ্য ও কোরবানির পশু পরিবহনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ আশ্বাস দেন।
নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, কোরবানির পশু পরিবহনে যাতে কোনো ধরনের বিঘ্ন না হয় সেজন্য কোরবানির পশু বহনকারী সব নৌযান কোন হাটে ভিড়বে তা উল্লেখ করে ব্যানার লাগাতে হবে। কোরবানির পশুসহ অন্যান্য পণ্যবাহী নৌযান নৌপথে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নৌপুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে পণ্য ও কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যেতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে নৌপুলিশ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবে। নদীর পাড়ে ১০৮টি পশুর হাট বসছে। সেগুলোরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই হাটগুলো নিরাপত্তায় সাদা পোশাক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নৌপুলিশ সব নৌঘাট, নৌ-টার্মিনালে দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই যাত্রায় নদীর মাঝ পথে নৌকায় উঠা-নামা বন্ধ করা হবে এবং লঞ্চের এলোমেলো পার্কিং বন্ধ করা হবে। নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করলে কঠোর হবে পুলিশ। নৌপথে যে কোনো সমস্যায় নৌপুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০১৩২০১৬৯৫৯৮ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে নৌপুলিশকে অবগত করলে নৌপুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ জাতীয় আরো খবর..