×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৬
  • ৭০ বার পঠিত
ভারতের নতুন সরকার গঠনে এনডিএ জোটকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বুধবার (৫ জুন) মোদি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর নতুন সরকার গঠনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় চলছে জোট সরকার গঠনের তোড়জোড়। এ অবস্থায় ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন মোদির জোটের বিহার-ভিত্তিক জনতা দল ইউনাইটেডের প্রধান নেতা নীতিশ কুমার ও তেলেগু দেশাম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। 

এই দুই দল এনডিএ জোটে না থাকলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটটি সরকার গঠন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দিনভর চলা সব আলোচনার অবসান ঘটেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই ভরসা রেখেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমার।
 
বুধবার দিল্লিতে জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক শেষে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এনডিএ-কে সমর্থন দিয়ে সম্মতিপত্রে সই করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমার। শুধু তাই নয়, পরে নরেন্দ্র মোদিকে এনডিএ’র দলনেতা নির্বাচিত করা হয়। এই এনডিএ সরকারের দুই অন্যতম আলোচিত শরিক দলের নেতাদের নিয়ে ফটোসেশনও করা হয়। 

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, রাতে বিদায়ী সরকারের প্রধান ও মন্ত্রিপরিষদের সৌজন্যে দেয়া রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে যান মোদি ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। সেখানেই রাষ্ট্রপতিকে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে চিঠি দেয়া হয় এবং রাষ্ট্রপতিও সরকার গঠনের জন্য এনডিএকে আমন্ত্রণ জানান।
 
এর আগে, বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে মোদি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরইমধ্যে শপথের দিনক্ষণও নির্ধারণ করেছে বিজেপি। শনিবার (৮ জুন) হতে পারে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ। সবকিছু ঠিক থাকলে, জওহরলাল নেহরুর পর মোদিই হতে যাচ্ছেন ভারতের টানা তৃতীয় দফার প্রধানমন্ত্রী। 

এরইমধ্যে বিরোধী দলে থাকার ঘোষণা দিয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনের ফলাফলের পর সরকার গঠনের সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে বুধবার আলোচনায় বসে দলটি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকের কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বিরোধী দলে থাকলেও ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের শাসনের বিরুদ্ধে অব্যাহত থাকবে আন্দোলন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat