এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার যেন শেষ নেই! কারও চাওয়া পণ্যের দামে মিলবে স্বস্তি; আবার কারও শিক্ষাখাতে বেশি বরাদ্দ। মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়লেও বাড়ছে না কিন্তু মানুষের কর্ম আয়। নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর বাড়বে করের বোঝা -- এমনটা চান না চাকরিজীবীরা। এমন বিভিন্ন চাওয়া-না চাওয়ার ভিড়ে চাওয়াই যেন গুরুত্ব পায়, সবারই সে আশা প্রস্তাবিত নতুন এ বাজেটে।
সারা দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমিনুল ইসলামের দৈনিক আয় ৮শ/৯শ টাকা। এ যেন তেল আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা! বাজেট, বাজেট ঘাটতি, মূল্যস্ফীতি কী -- এর কিছুই বোঝে না সে। শুধু বোঝে, বাজারে গেলে টাকা খালি ফুরিয়ে যায়।
আমিনুল সময় সংবাদকে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে। এতে যা আয় হয়, সবই চলে যায় সংসার চালাতে। সঞ্চয় করা যায় না কিছুই।
এদিকে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি শিক্ষার্থীদের। চাকরিজীবীরা আবার ভাবছেন ভিন্নভাবে। কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে চাকুরেদের আয়কর পরিশোধের আওতায় এনে করের বোঝা কমানোর দাবি তাদের।
চলতি মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৮৯ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে পণ্যের দাম কমে আসুক -- এটাই চান সাধারণ ভোক্তারা। তাদের বক্তব্য, বাজেটে সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নিত্যপণ্যের দাম কমানো।
রিকশাচালক থেকে শুরু করে চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা -- সবারই চাওয়া নতুন বাজেটে যেমন থাকবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিষ্কার রূপরেখা, তেমনি যেন সাধারণের দৈনন্দিন জীবনযাপনে থাকে স্বস্তির বার্তা।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাবনা ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ (শুক্রবার)। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে পেশ করবেন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনা। এর আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।
বড় অঙ্কের এ বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের জোগান দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া হতে পারে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার টার্গেট, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
এ জাতীয় আরো খবর..