প্রকৃতি ও উৎপাদনকে একসুতোয় গেঁথে যে সবুজ বিপ্লবের পথে হাঁটছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প; তার ধারেকাছে নেই বিশ্বের অন্য কোনো দেশ। উদ্যোক্তারা বলছেন, অতিরিক্ত খরচ করে হলেও সবুজ কারখানার রিটার্ন বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে জোর দিয়ে সাজাতে হবে আগামীর বিশ্ববাজার দখলের পরিকল্পনা।
গত এক দশকে বাংলাদেশের পোশাক খাতে হয়েছে সবুজ বিপ্লব। বর্তমানে বিশ্বসেরাসহ ১০০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ৫৬টিই বাংলাদেশের। আবার প্রথম ২০টির মধ্যে ১৮টি। এই সবুজ বিপ্লবে শুধু প্রকৃতির নিরাপত্তা নিশ্চিতই নয়, নিরাপদ হয়েছে পোশাকশ্রমিকদের কর্মপরিবেশও।
শ্রমিকরা জানান, কর্মপরিবেশ ভালো হওয়ায় কাজ করে প্রশান্তি পাওয়া যায়।
কর্তৃপক্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানা তৈরিতে বেশি ব্যয়কে দেখছে বিনিয়োগ হিসেবে। যাতে বাড়ছে উৎপাদনশীলতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রহণযোগ্যতা।
আর বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন,
পরিবেশবান্ধব কারখানার কারণে বাড়ছে শ্রমিকদের কাজ করার উৎসাহ। এতে বাড়ছে উৎপাদনশীলতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রহণযোগ্যতাও।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সবুজ বিনিয়োগকে উৎসাহী করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, আগামীর বিশ্ববাজার দখলে প্রতিযোগিতা চলবে সবুজকে ঘিরে।
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন,
বিশ্ববাজার দখলের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে পরিবেশবান্ধব এই কারখানাগুলো। তাই সবুজ বিনিয়োগকে উৎসাহী করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে পরিবেশবান্ধব শুধু পোশাক কারখানাই রয়েছে ২১৮টি। যার মধ্যে প্লাটিনাম ৮৪টি, গোল্ড ১২০টি, সিলভার ১০টি, সার্টিফাইড ৪টি।
দেশের রফতানি খাত এগিয়ে যাওয়ার পেছনে বড় অবদান রয়েছে তৈরি পোশাক খাতের। আর পোশাক খাতের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে অবদান রয়েছে পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলোর। ভবিষ্যতে পোশাক শিল্পে এই পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলোর সংখ্যা অনেকাংশে বাড়ানো গেলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের একচেটিয়া দাপট তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ জাতীয় আরো খবর..