×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-১১
  • ৬৯ বার পঠিত
এক বছরে সাড়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি কয়লা এনে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র রেকর্ড গড়েছে। পাশাপাশি স্থায়ী বন্দর হওয়ার আগেই মাতারবাড়ির অস্থায়ী জেটিতে ১৫৫টি জাহাজ ভিড়িয়ে আরেক রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। আর এ সময় শুল্ক আদায় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর বলতে এখনও তেমন কোনো স্থাপনা গড়ে ওঠেনি কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর সাগর ঘেঁষা এই ইউনিয়নে। জেটি কিংবা কন্টেইনার ইয়ার্ডতো দূরের কথা, শুধুমাত্র বন্দর এলাকার পাশেই গড়ে ওঠা কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন শুরু হয়েছে কয়েক মাস হলো। আর তাতেই একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।

২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল শুরু হয় মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে কয়লাবাহী জাহাজ ভেড়ানোর কার্যক্রম। গত এক বছরে কয়লাবাহী ২৪টি বিশাল আকৃতির জাহাজের পাশাপাশি ভিড়েছে যন্ত্রপাতিবাহী আরও ১৩১টি ছোট জাহাজ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ভিড়েছে চারটি কয়লাবাহী জাহাজ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পাইলট চার্জ-টাগ চার্জ এবং রিভার ডিউজসহ শুল্ক আদায় করেছে ১৪ কোটি টাকার বেশি।
 
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, যদি বেশি পরিমাণ জাহাজ আসে তাতে বন্দরের আয় বাড়বে, যা সুদূরপ্রসারীতে দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।
  
বন্দরের নিজস্ব টার্মিনাল কিংবা জেটি না হলেও আপাতত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতেই ভেড়ানো হচ্ছে কয়লাবাহী সবগুলো জাহাজ। প্রতিটি জাহাজে ৬৪ থেকে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন হিসেবে গত এক বছরেই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১৫ লাখ ৩৭ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা সম্ভব হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মাত্র ২-৩ দিনেই জাহাজের কয়লা চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিজার্ভারে।
 
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, মাতাবাড়িতে এখন পর্যন্ত স্থায়ী টার্মিনাল তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে এখানে বন্দরের সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া শুরু হলে হাজার হাজার জাহাজ ভিড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
 
যেকোনো আকৃতি কিংবা গভীরতায় জাহাজ ভেড়ানোর জন্য অন্তত ১৬ মিটার গভীর এবং সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নতুন একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে এই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে। গত বছরের ১১ নভেম্বর এই বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং নতুন এই চ্যানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat