×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৫
  • ৬৩ বার পঠিত
এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব, তা থেকে দেশকে আমরা মুক্ত করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। যে পদক্ষেপগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় আওয়ামী লীগ সারাদেশে গাছ লাগায়, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে হাজার হাজার বৃক্ষ ধ্বংস করে। এসময় একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,  উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কোথাও একটি গাছ কাটা হলে তিনটি গাছ লাগাতে হবে।

সেই নিয়মেই সরকার কাজ করছে। বনভূমির পরিমাণ বেড়েছে বলেও দাবি করেন সরকারপ্রধান।
পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি গাছ লাগান, গরমে ছায়ায় আরাম পাবেন। ফল গাছ হলে তো খেতেও পারবেন।

নিজের গাছের ফলের তৃপ্তিই আলাদা। আমরা সবাই মিলে গাছ লাগিয়ে নিজেদের পরিবেশটা সুরক্ষায় মনোযোগ দিই।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এত দীর্ঘস্থায়ী ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছ্বাস হয়নি। এবারই প্রথম হয়েছে। আট লাখ মানুষকে আমরা শেল্টারে আনতে পেরেছি।

এত চাপেও আমাদের উপকূলে দেওয়া উপহারের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য করে দেওয়া ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় গাছপালা ভূমিকা রাখে জানিয়ে সবাই গাছ লাগানোর তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা সবুজ আচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই তিনি সেখানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করেন।

জাতির পিতা বৃক্ষরোপণের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যে ঝাউ বন সেটি জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের দ্বীপ অঞ্চল, বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানে প্রত্যেক প্রজাতির পশুপাখি জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করে দিয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat