বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, দেশে গত এক বছরে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালান হয়েছে।
সোমবার সকালে বাজুসের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশে গত এক বছরে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালান হয়েছে। যদি বৈধ পথে এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি করা হতো, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২২ বিলিয়ন ডলার জমা হত। এ খাত থেকে সরকার রাজস্ব পেতো বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
এসময় বাজুসের চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রিপনুল হাসান বলেন, ‘ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রার দাম বৃদ্ধি এবং বেপরোয়া চোরাচালানের কারণে বহুমুখী সঙ্কটে দেশের জুয়েলারি শিল্প।’
এ পরিস্থিতিতে থেকে উত্তোরণে চোরাচালান বিরোধী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মনিটরিং সেল গঠন,অভিযান চালানোসহ ৭ দফা সুপারিশ করে বাজুস।
এ সময় চোরাচালানে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে বাজুসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে সমীক্ষা পরিচালনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
ঢাকা কাস্টমসের তথ্যমতে, শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই ২০২০ সালে ২ দশমিক ৭৭৫ টন, ২০২১ সালে ২৫ দশমিক ৬৮৯ টন, ২০২২ সালে ৩৫ দশমিক ৭৩৩ টন এবং ২০২৩ সালে ৩১ দশমিক ৪৬৮ টন স্বর্ণের বার ব্যাগেজ রুলের আওতায় আমদানি হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..