×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৩
  • ২১৪ বার পঠিত
নিত্যপণ্যের বাজারে সংকট নেই। চাহিদামাফিক সব কেনা গেলেও হাঁকা হচ্ছে চড়া দাম। রয়েছে ডলার সংকটও। এমন বাস্তবতায় আসছে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট। আগামী ৬ জুন মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায়ের বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

ভোক্তাদের দাবি, বাজারে চাল, ডাল, তেল কিংবা মাছ, মাংসসহ প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম চড়া। এমন পরিস্থিতিতে ভোগ্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে প্রয়োজন শুল্কছাড়। আর অর্থপ্রতিমন্ত্রী জানালেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকছে আগামী বাজেটে।

প্রতিবছর বাজেট আসলেই সবার আগ্রহ থাকে কোন পণ্যের দাম কমল, আর কোনটির বাড়ল। চাল, ডাল, আটা, ডিম, মুরগির মতো নিত্যপণ্যের দাম কমাতে বাজেটে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ চান সাধারণ মানুষ।

ভোক্তারা বলছে, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন কম থাকে সেদিকে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি বাজেট যেন জনগণের হয়।

বেসরকারি একটি অফিসে চাকরি করেন রাসেল সাইফুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বাজেটের সময় আসলেই কিছু পণ্যের দাম বেড়ে যায়। দেখা যায় তখনও বাজেট ঘোষণা বা পাস হয়নি। অথচ বাজেট ঘোষণার পর সেই দাম আর কমে না। এটাই এখন নিয়ম। আমরা চাই, বাজেটের পর যেন কোনো জিনিসের দাম না বাড়ে।’

মুজাহিদুর রহমান ময়না একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘ভালো বেতন পেয়েও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে কোন সঞ্চয় করতে পারছি না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই টাকা শেষ। নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য যা করা দরকার, বাজেটে তাই করা হোক।’

চলতি বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, বর্তমানে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেটের খসড়া করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, জনসাধারণকে মূল্যস্ফীতির অভিঘাত থেকে কীভাবে রক্ষা করব সেজন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম আছেই। পাশাপাশি এবারের প্রস্তাবিত বাজেটেও তা আরও বাড়ানো হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সব মিলিয়ে বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়াতে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ তাদের।

অর্থনীতিবিদ এম আবু ইউসুফ বলেন, ‘সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয় এখানে আছে। আরেকটা হলো, যেহেতু বাজেট আসতেছে ইনফ্লেশনের চাপটা কিছু কমানো জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পাশাপাশি যে ওএমএস আছে সেটার আওতা বাড়ানো উচিত।’

আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখতে চায় সরকার। এজন্য বিভিন্ন নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর উদ্যোগ থাকবে আসছে বাজেটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat