চলতি বছরের মে মাসে ১১০ জন কন্যা এবং ১৩৩ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪০ জন কন্যাসহ ৬২ জন। তারমধ্যে ১২ জন কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ২ জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ১ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেন। এছাড়া ৩ জন কন্যাসহ ৭ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদন (মে, ২০২৪) এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গতকাল এই প্রতিবেদন পাঠায় মহিলা পরিষদ। মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ২২ জন কন্যাসহ ২৩ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৬ জন কন্যাসহ ৭ জন, এরমধ্যে ১ জন কন্যা উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। গতমাসে নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ২টি। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন, এরমেধ্য ১ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যুর হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন, এরমধ্যে ২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১ জন, এরমধ্যে ২ জন কন্যা।
এ ছাড়া গতমাসে পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৩ টি। ১ জন কন্যা গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কারণে ৭ জন কন্যাসহ ৪৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ৪ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৩ জন কন্যাসহ ২২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৫ জন কন্যাসহ ২০ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে ১ জন কন্যা আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে।
মে মাসে ৩২৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে: এমএসএফমে মাসে ৩২৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে: এমএসএফ
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মে মাসে ৩ জন কন্যাসহ ৪ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। এছাড়া ১ জন কন্যার অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ৩ জন কন্যাসহ ৪ জন সাইবার ক্রাইমের ঘটনার শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২ টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৫ টি। এছাড়া ৫ জন কন্যাসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..