ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে এবার কোরবানির হাট বসছে ১৭টি। এর মধ্যে অস্থায়ী ১৫ হাটের ইজারা প্রায় চূড়ান্ত। এতে দুই সিটির রাজস্ব আদায় হবে ৪১ কোটি টাকার বেশি। সিটি করপোরেশন বলছে, ইজারার নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাইরে হাট বসালে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। উত্তরের ৭টি হাটেই থাকবে ডিজিটাল ব্যাংকিং সুবিধা।
আর কয়েকদিন পরেই ঢাকা দক্ষিণের আমুলিয়ার এই মাঠে বসবে কোরবানির পশুর হাট। এরই মধ্যে ৬৫ লাখ টাকায় চূড়ান্ত করা হয়েছে ইজারা।
এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী হাটের ইজারা দেওয়া হচ্ছে ৯টি। এতে রাজস্ব আদায় হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকার বেশি। আর ঢাকা উত্তরে অস্থায়ী হাটের ইজারা দেওয়া হচ্ছে ৬টি। এসব থেকে রাজস্ব আসবে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া দুই সিটির স্থায়ী হাট গাবতলী ও সারুলিয়ায় হবে বেচাকেনা। তবে, আদালতের স্থিতাবস্থার কারণে এবার হাট বসছে না আফতাবনগরে।
বেশিরভাগ হাটের ইজারাই প্রায় চূড়ান্ত। দু-একদিনের মধ্যে আসবে ঘোষণা। ঈদের ৫ দিন আগে থেকে বসবে হাট, চলবে ঈদের পরদিন পর্যন্ত। নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে পশু তোলা হলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘যারা কোরবানি দেবেন, তাদের সুবিধার্থে ১১–১২টি হাট আমরা আমাদের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্দিষ্ট করেছি। এলাকা বিবেচনা করেই কিন্তু মাননীয় মেয়র এটি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং এর বাইরে যদি কেউ দিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা উত্তরের ৭টি হাট ব্যবস্থাপনা এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। ক্যাশলেস ট্রান্সজেকশনের আহ্বান জানিয়ে উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, সব হাটেই রাখা হবে ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা। তিনি বলেন, ‘হাটে এসে গরু পছন্দ হওয়ার পর পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে ক্রেডিট কার্ডে কিংবা অনলাইলে পেমেন্ট করতে পারবেন। এই ব্যবস্থা আমরা রেখেছি।'
সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ঈদের দিন ও পরদিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
এ জাতীয় আরো খবর..