বিশ্বের যে কোনো দেশের বিমানবন্দরের জন্যই লাগেজ হ্যান্ডলিং একটি চ্যালেঞ্জ। এরমধ্যেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লাগেজ হ্যান্ডলিংকে উন্নত করা হয়েছে। থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য জাপানের সঙ্গে কথা হয়েছে। জাপানের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কার্যক্রম চালাবে বাংলাদেশ বিমান। এতে লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের মান আরও উন্নত হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বিশ্বের যে কোন বিমানবন্দরের জন্যই লাগেজ হ্যান্ডলিং একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিমানমন্ত্রী বলেন, যাত্রীরা মনে করেন যে বিমান থেকে নেমে টার্মিনালে যেতে যেতেই যেন আমি লাগেজটি পেতে পারি। এটা পৃথিবীর কোন দেশেই হয় না। কিছু যাত্রী খুশি থাকে যাদের লাগেজটা আগে আগে চলে আসে, আর যাদেরটা আসতে দেরি হয় তারা বিরক্ত হন। শাহজালাল বিমানবন্দরে এরমধ্যেই লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের মান উন্নত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম লাগেজটি যাত্রীরা ১৫ মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যান, সবশেষ লাগেজটি চলে আসে ৪০ মিনিটের মধ্যেই। এটাকে তিনভাবে উন্নত করতে পারি। প্রথমত, নতুন ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন করতে পারি। এরমধ্যেই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। আরও নতুন নতুন ইক্যুইপমেন্ট কেনার প্রক্রিয়ায় আছে বাংলাদেশ বিমান।
লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন অঘটন যেন না ঘটে এ জন্য তাদের শরীরে বডি ক্যামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃতীয় আরেকটি উপায় হলো, বাইরের দেশের কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করা। এরমধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি জাপানের কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের ব্যাপারে জয়েন্ট ভেঞ্চার হবে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান বিমানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এজন্য জাপানকে আমাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তবে জাপান এখনও আমাদেরকে জানায়নি তাদের কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিমানের এই লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের ব্যাপারে জয়েন্ট ভেঞ্চার হবে। আমরা আশা করছি, জয়েন্ট ভেঞ্চার হলে আমাদের লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের মান আরও উন্নত হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, থার্ড টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক মাকসুদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..