হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর নির্বাচনের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু করেছে ইরান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি স্টেট টিভিকে এ কথা বলেন।
ইরানি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হয়েছিল রাইসিকে। তার মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য কট্টরপন্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
ওয়াহিদি বলেন, প্রার্থীগণ নিবন্ধনের জন্য পাঁচ দিন সময় পাবেন। পরে অভিভাবক পরিষদ সাত দিন সময় নিয়ে তাদের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। ১১ জুন যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার পর প্রার্থীগণ নির্বাচনী প্রচারণার জন্য দুই সপ্তাহ সময় পাবেন।
এদিকে ১২ সদস্যের কট্টরপন্থী অভিভাবক পরিষদ তাদের প্রার্থীদের থেকে এগিয়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বীদের অযোগ্য ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদরা।
এ ছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট এবং ব্যালটে পছন্দের প্রার্থী না থাকায় ভোটগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানা যায়।
ইরানের শাসক এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাদের জটিল মিশ্রণের মধ্যেও পারমাণবিক ও পররাষ্ট্রনীতির মতো সব রাষ্ট্রীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান খামেনি। তবে এবার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করবেন।
অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এবারের প্রার্থী নিবন্ধনের মধ্যে সাবেক গার্ড সদস্য পারভিজ ফাত্তাহ এবং সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জলিলি থাকতে পারেন।
তা ছাড়া অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার এবং সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার ও খামেনির উপদেষ্টা আলী লারিজানিও সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন বলে ইরানের গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু নিম্ন-মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদও এই প্রতিযোগিতায় নামতে পারেন।
সূত্র : রয়টার্স।
এ জাতীয় আরো খবর..