×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৭-১২
  • ৮৬ বার পঠিত
হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় পরামর্শ দিয়েছে, নির্দলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি স্বাধীন সরকার যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা ও ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর পরিচালনা করবে। ফিলিস্তিনি ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর একজন সদস্য শুক্রবার এ কথা বলেছেন বলে এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান আলোচনার বিষয়ে হোসাম বদরান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব করেছি, একটি নির্দলীয় দক্ষ জাতীয় সরকার যুদ্ধের পর গাজা ও পশ্চিম তীর পরিচালনা করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধের পর থেকে গাজা পরিচালনা ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে থাকবে, এতে কোনো বাহ্যিক হস্তক্ষেপ থাকবে না।

আমরা যুদ্ধের পরদিন থেকে গাজা নিয়ে কোনো বাহ্যিক দলের সঙ্গে আলোচনা করব না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, “একটি নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব ‘মধ্যস্থতাকারীদের কাছে’ করা হয়েছিল। সেই সরকার ‘যুদ্ধের পর প্রাথমিক পর্যায়ে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের বিষয়গুলো পরিচালনা করবে, সাধারণ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলাডেলফি করিডর, মিসরের সঙ্গে সীমান্তবর্তী গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলকে ধরে রাখার দাবি করার পরে বদরানের মন্তব্য এসেছে।

এই শর্তটি হামাসের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলকে গাজার সব এলাকা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বদরানের মন্তব্যগুলো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পর এলো, যিনি ফিলাদেলফি করিডরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার দাবি করেছিলেন, যা মিসর ও গাজা উপত্যকার সীমান্ত বরাবর অবস্থিত। এই শর্তটি হামাসের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যুদ্ধবিরতির পর গাজার সব অঞ্চল থেকে ইসরায়েলকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছে হামাস।

নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ফিলাদেলফি করিডরের নিয়ন্ত্রণ ‘মিসর থেকে হামাসের কাছে অস্ত্র পাচার করা’ প্রতিরোধের প্রচেষ্টার অংশ।
এদিকে দোহা, কাতার ও কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও সেই সঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আলোচনা চলছে।

৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণের পর গাজা উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির তথ্য অনুযায়ী, সেই হামলায় এক হাজার ১৯৫ জন নিহত হয়। সেই সঙ্গে যোদ্ধারা ২৫১ জনকে জিম্মিও করে নিয়ে যায়, যার মধ্যে ১১৬ জন এখনো গাজায় রয়েছে।

সামরিক বাহিনী বলছে, জিম্মিদের মধ্যে ৪২ জন ইতিমধ্যে নিহত হয়েছে। অন্যদিকে হামাসশাসিত গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল সামরিক আক্রমণ চালাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৩৪৫ জন নিহত হয়েছে। দুই পক্ষের নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat