প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের বাড়িঘর নির্মাণসহ যা যা প্রয়োজন সবই করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে দুই হাজার দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন,
যারা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের বাড়িঘর নির্মাণসহ যা যা প্রয়োজন সব করে দেব৷ আপনাদের পাশে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব৷ দুর্যোগ আসবেই, কিন্তু তা মোকাবিলা করেই টিকে থাকার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে৷ সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য৷
তিনি বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হবে; যেখানে যেখানে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে৷ সেগুলোও আবার বানিয়ে দেব৷ আমার ওপর আস্থা রাখুন।’
সরকারপ্রধান বলেন,
দেশে বন্যা-ঝড় হয়েই থাকে, কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচানোই বড় কথা৷ জিনিস/সম্পদ গেলে পাওয়া যায়, কিন্তু জীবন গেলে আর পাওয়া সম্ভব না৷ ধারাবাহিকভাবে দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই, দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি৷
দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেটাই সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যা যা দরকার, সবই করে যাচ্ছে সরকার৷
অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিন বেলা ১১টার পর হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা পৌনে ১টার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার খেপুপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই হেলিপ্যাডে অবতরণ করে।
ত্রাণ বিতরণ শেষে শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা। তা ছাড়া পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।