বিশ্বের শহরগুলোর বাসযোগ্যতার তালিকায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার। ১৭২টি শহরের মধ্যে এ বছর ১৬৬তম হয়েছে এ মহানগর। সূচকে বাংলাদেশ ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৩৯.৫।
মিডিয়া সংস্থা ইকোনমিস্ট গ্রুপের গবেষণা বিভাগ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।
শহরটি ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৯৯.১। আর তালিকার একদম তলানিতে রয়েছে যুদ্ধপীড়িত সিরিয়ার দামেস্ক শহর, সূচকে যার স্কোর ৩০.৭।
ইআইইউয়ের গত বছরের বাসযোগ্যতার তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৭তম। সেবার তালিকায় মোট শহর ছিল ১৪০টি। সেবার সূচকে ১০০ নম্বরের মধ্যে ঢাকা পেয়েছিল ৩৩.৫।
শহরের বাসযোগ্যতা বিচারে মোট পাঁচটি মানদণ্ড রয়েছে ইআইইউয়ের। এগুলো হচ্ছে স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো। প্রতিটি মানদণ্ডের নানা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় আলাদা নম্বর। পরে সেগুলোর বিচারে অবস্থান নির্ধারিত হয় শহরের।
এবারের তালিকায় ঢাকা স্থিতিশীলতায় ৫৫, স্বাস্থ্যসেবায় ২৯.২, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০.৫, শিক্ষায় ৪১.৭ এবং অবকাঠামোতে ২৬.৮ পেয়েছে। শেষ দশের অন্যদের তুলনায় অবকাঠামোতে সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে ঢাকা। ২০২১ সালের তালিকায়ও অবকাঠামোতে একই নম্বর ছিল রাজধানীর। তবে গত বছরের তুলনায় স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশ এবং শিক্ষায় স্কোর বেশি এসেছে ঢাকার। গত বছর এই তিন খাতে ঢাকার নম্বর ছিল যথাক্রমে ১৬.৭, ৩০.৮ এবং ৩৩.৩।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর কভিড নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ দশ তালিকার শুধু ত্রিপোলি ছাড়া প্রত্যেকেরই স্কোরের উন্নতি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা (বাংলাদেশ) এবং পোর্ট মোর্সবি (পাপুয়া নিউ গিনি) প্রত্যেকে তিন ঘর করে এগিয়েছে।
তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে ছয়টিই ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের শহর। তবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের সঙ্গে যৌথভাবে দশম স্থানে দেখা গেছে জাপানের ওসাকা শহরকে। স্থিতিশীলতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ১০০ নম্বরে ১০০ পেয়ে শহরটির মোট সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫.১-এ।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব দেখা গেছে এ তালিকায়ও। চলমান পরিস্থিতি বিচারে তালিকায় রাখা হয়নি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর বাসযোগ্যতা র্যাংকিং কমেছে ১৫ ঘর, অন্যদিকে সেন্ট পিটার্সবার্গের নিচে নেমে এসেছে ১৩ ঘর।
সূত্র : ইআইইউ প্রতিবেদন
এ জাতীয় আরো খবর..