গত ১৪ মে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমান মারাত্মক দুলুনির (টার্বুলেন্স) শিকার হয়। এতে একজন প্রবীণ হৃদরোগীর মৃত্যু ছাড়াও আহত হয় বেশ কয়েকজন যাত্রী। টার্বুলেন্স বিমানযাত্রায় প্রায়ই ঘটলেও বড় বিপর্যয় বা মৃত্যুর ঘটনা খুব বিরল। বিশেষ ধরনের বায়ুপ্রবাহের মধ্যে পড়লে উড়োজাহাজের টার্বুলেন্স হয়।
এ সময় বিমান দুলুনি বা ঝাঁকুনির শিকার হয় বা হঠাৎ করে নিচে নেমে যায়। সাধারণত আগে ওই অঞ্চলের আকাশে থাকা পাইলটরা পরে আসা বৈমানিকদের সতর্ক করেন। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের বিমানটি যেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল, সেখানকার আকাশে বিমানের উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম ছিল। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যতে বিমান ভ্রমণে টার্বুলেন্স বাড়তে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ‘ক্লিয়ার-এয়ার টার্বুলেন্সকে’ দায়ী করা হয়েছে। এটি অন্য ধরনের টার্বুলেন্স থেকে আলাদা। ঝড় বা মেঘের কোলঘেঁষা অস্থির বাতাসের উপস্থিতি টের পাওয়া গেলেও নাম থেকেই ইঙ্গিত মেলে—‘ক্লিয়ার এয়ার টার্বুলেন্স’ খালি চোখে বোঝা যায় না বা টের পাওয়া যায় না। প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষক রিকার্ডো ভিনুসা এআইয়ের সাহায্যে কিভাবে ক্লিয়ার-এয়ার টার্বুলেন্সের রহস্য উদঘাটন করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..