কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের কিছু খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্ধার করা খণ্ডিত অংশগুলো সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহের অংশ কি না, ডিএনএ টেস্টের পর তা জানা যাবে।
কলকাতা থেকে সময় সংবাদের প্রতিবেদক সুব্রত আচার্য জানান, সংসদ সদস্য আনারের খণ্ডিত দেহ খুঁজে পাওয়া যাবে এমন আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিলেন ঢাকার ডিবির হারুন। তার অনুরোধে সঞ্জিভা গার্ডেন্সের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ভাঙা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে- সেপটিক ট্যাংক ভাঙার পর মানুষের একগুচ্ছ চুল, কিছু গুঁড়ো হাড় ও মাংসের খণ্ড পাওয়া যায়। সিআইডি কর্মকর্তাদের খবরে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির গবেষকরা এসে খন্ডাংশগুলো নিয়ে যান। ডিএনএ টেস্ট না হওয়া পর্যন্ত, খণ্ডাংশগুলো সংসদ সদস্য আনারের মরদেহের কি না এখনও সরকারি পক্ষ থেকে করা হচ্ছে না।
সোমবার (২৭ মে) ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) টিম। এ সময় সঞ্জিভা গার্ডেন্সের সেই ফ্ল্যাটে নেয়া হয় কলকাতায় গ্রেফতার কসাই জিহাদ হাওলাদারকে (২৪)।
অপরদিকে বাংলাদেশে গ্রেফতার তিনজনকে ভিডিও কলে যুক্ত করে জিহাদের সঙ্গে সামনাসামনি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলেও মেলেনি সংসদ সদস্য আনারের দেহাংশ।
পরে মঙ্গলবার (২৮ মে) কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশকে সংসদ সদস্য আনারের দেহাংশের খোঁজে সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ভেঙে সার্চ করার অনুরোধ জানান ডিবির হারুন। পাশাপাশি হাতিশালা লেকও সার্চের অনুরোধ করা হয়।
১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এরপর খবর আসে, ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি আবাসিক ভবনে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়েছে হত্যাকারীরা।
এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে ছয়জন গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..