×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-২৭
  • ৮৭ বার পঠিত

দৈনন্দিন ব্যয়ে স্বস্তি মিললেই বাজেট নিয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। আসছে বাজেট নিয়ে যে আগাম বার্তা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতবছরের চেয়ে বাড়ানো হতে পারে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা। চলতি বাজেটে এ হার ছিল ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির বর্তমান হার যেখানে ৯.৭৪ শতাংশ, সেখানে এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ করা হলে -- অর্থনীতিবিদরা বলছেন তা হবে উচ্চাভিলাষী।

অর্থ মন্ত্রণালয় আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নানা সূত্রের তথ্য বলছে, আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আসছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেট। এটি চলতি বাজেটের চেয়ে ৩৫ হাজার ১১৫ কোটি টাকা বেশি।

বলা হচ্ছে, এবারের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর কৃষি। যদিও আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) তৃতীয় স্থান পেয়েছে শিক্ষা। বরাদ্দ মিলেছে ৩১ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। সমালোচনার মুখে থাকা স্বাস্থ্যখাত ২০ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা নিয়ে আছে পঞ্চম স্থানে। আর ১৩ হাজার ২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে কৃষি আছে সাত নম্বরে।

বাজেটের এ আকারকে দেশীয় অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় বাস্তবসম্মত বললেও, অর্থনীতিবিদদের কাছে বাহবা পাচ্ছে না সরকারের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা। চলতি বাজেটে এটি ছিল ৬ শতাংশ, যা আসন্ন বাজেটে ০.৫ শতাংশ বাড়বে। কিন্তু বর্তমানে দেশে এ হার বিরাজ করছে ৯.৭৪ শতাংশে। ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কতটা বাস্তবসম্মত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবির বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৬ শতাংশ ধরা হলে, সেটি হবে উচ্চাভিলাষী। কারণ সংকোচনমূলক কঠোর মুদ্রানীতির পরও খাদ্য মূল্যস্ফীতি বা সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না।

বাজেটের আকার যাই হোক, সংকোচনশীল নীতিতে চলার ইঙ্গিত দিয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ থেকে নামিয়ে আনা হতে পারে ৬.৭৫ শতাংশে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ কতটা থাকবে -- সেটির ওপর নির্ভর করবে মানুষের পরবর্তী দিনগুলোর ব্যয়ের হিসাব।

সাধারণ মানুষের দাবি, আসছে বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে। যাতে নিত্যপণ্যের দাম তাদের নাগালের মধ্যে থাকে।

এ তো গেল সাধারণ মানুষের বাজেটকেন্দ্রিক প্রত্যাশা। বিপরীতে ব্যবসায়ীদের তাগিদ, করপোরেট কর হার কমানোর ইঙ্গিত দেয়া এবারের বাজেটে অর্থব্যয়ের নীতি-কৌশল এমনভাবে সাজানো উচিত, যাতে তারা সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারেন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ব্যবসাবান্ধব বাজেট না হলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। বিশেষ করনীতি তৈরি করে শিল্প ও বাণিজ্যনীতির সঙ্গে মিলিয়ে সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে সহায়তা করতে হবে।

আসন্ন বাজেটে মোট ভর্তুকি ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকাই যেতে পারে এডিপি বরাদ্দের দ্বিতীয় শীর্ষে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে।


নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat