সৌদি আরবের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। খবর রয়টার্সের।
এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এরই মধ্যে সৌদি আরবকে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২১ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশেষ করে ইয়েমেনে ইরানপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের ওপর সৌদি সামরিক অভিযানে ব্যাপক প্রাণহানি এবং রিয়াদের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে নাখোশ ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড নিয়েও সৌদির বিরুদ্ধে সরব ছিল মার্কিন প্রশাসন।
বাইডেন সরকারের এমন অবস্থানের জেরে মার্কিন অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরবের কাছে বেশ কয়েক ধরনের অস্ত্র বেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যদিও যুগের পর যুগ ধরে সৌদির কাছে এসব অস্ত্র বেচে আসছিল আগের মার্কিন সরকার।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার বলেছেন, পারমাণবিক শক্তি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং রিয়াদ ও তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একগুচ্ছ চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব।
তবে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সরাসরি এ আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
এসব বিষয়ে কথা বলতে হোয়াইট হাউস এবং সৌদি সরকারি যোগাযোগ অফিসের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে তারা তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।