×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-১৯
  • ৫৯ বার পঠিত
রাজশাহী শহরের ১০ বছরের কম বয়সী ৩০ জন স্কুল ছাত্রদের সঙ্গে বিকৃত যৌন নিপীড়ন করেছেন মো. আব্দুল ওয়াকেল (৩৩) নামে এক শিক্ষক। এসব ভিডিও ধারণ করে নিজের মুঠোফোন, পেনড্রাইভ, কম্পিউটার এবং এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কে সংরক্ষণ করে রাখা সেই শিক্ষককে রাজশাহী থেকে গতকাল শনিবার (১৯ মে) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

আজ রবিবার (১৯ মে) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত সিআইডি সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদুর রহমান। গ্রেপ্তারের সময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোন, পেনড্রাইভ এবং কম্পিউটারের একাধিক হার্ডডিস্কে কোমলমতি ছাত্রদের বিপুল পরিমাণ নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং চাইল্ড পর্নোগ্রাফির কন্টেন্ট পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই শিক্ষকের সার্চ এসব তথ্য ইঞ্জিন পৌঁছে দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার পার্টনার হওয়ায় এ সংক্রান্ত কনটেন্টটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির নিজস্ব ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স টিম তদন্ত শুরু করে। স্থানীয় ভুক্তভোগী অনেক ছাত্র ও তাদের গার্ডিয়ান নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তকারী দলের নিকট শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াকেলের সম্পর্কে ভয়ঙ্কর তথ্য সরবরাহ করে।

পরে সিআইডির একটি বিশেষ টিম তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজশাহী মেট্রোর মতিহার থানাধীন শ্যামপুর ডাঁশমারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আব্দুল ওয়াকেল রাজশাহীর কাটাখালীর একটি স্কুলের শিক্ষক। ছাত্রাবস্থায় তিনি তার এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন। সে সময় থেকেই তিনি কোচিংয়ের কোমলমতি ছাত্রদের টার্গেট করে চকলেট এবং মোবাইলে গেমস খেলার প্রলোভন দেখিয়ে সখ্য গড়ে তুলতেন।

পরে তাদেরকে ফুসলিয়ে তার কোচিং সেন্টারে অথবা নিজ বাড়িতে এবং কখনো কখনো আশপাশের আম/লিচু বাগানে নিয়ে যেতেন। সরলমনা ছাত্রদের চকলেট এবং পাবজি গেম ডাউনলোড করা মোবাইল ফোন হাতে দিয়ে পাবজি গেম খেলতে বলতেন। বাচ্চারা গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় সুযোগে তাদের সঙ্গে অপ্রাকৃতিক যৌনলালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশে তিনি শিশু বাচ্চাদের কাপড় খুলে বিকৃত যৌনাচার করতেন। আগে থেকে সেট করা মোবাইল ক্যামেরায় এ সময়ের ভিডিও ধারণ করে তা সংরক্ষণ করে রাখতেন। নিপীড়নের শিকার সব শিশুরাই তার ছাত্র ছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, অনার্স পড়াকালীন সময় থেকে ছেলে বাচ্চাদের সাথে বিকৃত যৌনাচার করতেন। এ নেশার কারণে তিনি বালকদের নিয়ে কোচিং সেন্টার চালু করেছিলেন। কোচিং সেন্টারে পড়া বাচ্চাদেরকে নানা ভাবে প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন গোপনীয় স্থানে নিয়ে যেতেন। এর পর তাদের পছন্দের মোবাইল গেম খেলতে দিয়ে ব্যস্ত রেখে তাদের সঙ্গে এসবে লিপ্ত হতেন। তার ভাষ্যমতে, এ পর্যন্ত তিনি ৩০ জন স্কুল ছাত্রকে বলৎকার করেছেন।

সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে তার বর্তমান কর্মস্থল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা দায়ের করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat